বাণিজ্যমেলার উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

  • নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা/ছবি: সংগৃহীত

ইংরেজি নববর্ষের প্রথম দিন রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে দেশের শিল্পখাতের সর্ববৃহৎ প্রদর্শনী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০ শুরু হয়েছে।

বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০২০’র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

বিজ্ঞাপন

বরাবরের মতো এবারও সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করেছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপনকে সামনে রেখে দেশের পণ্য প্রদর্শনী এবং পারিবারিক বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দৃষ্টিনন্দন করে এবারের মেলাকে সাজানো হয়েছে। ৩২ একর জমির ওপর নতুন রূপে সাজানো হয়েছে এবারের মেলা। মেলার গেট সাজানো হয়েছে জাতীয় স্মৃতি সৌধের আদলে। সঙ্গে রয়েছে পদ্মা সেতুর রেপ্লিকা।

মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪৮৩টি স্টল থাকছে। স্টলের মধ্যে রয়েছে ১১২টি প্যাভেলিয়ন, ১২৮টি মিনি প্যাভেলিয়ন এবং ২৪৩টি বিভিন্ন ক্যাটাগরির স্টল। বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু প্যাভেলিয়নকে ভিন্ন আঙ্গিকে উপস্থাপন করা হয়েছে।

মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্য দেশগুলো হচ্ছে- ভারত, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, সিঙ্গাপুর, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, হংকং, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ইরান, তুরস্ক, পাকিস্তান, মরিশাস, ভিয়েতনাম, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং অস্ট্রেলিয়া।

মেলা উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা মাঠের অস্থায়ী সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে। প্রবেশ টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৪০ টাকা (প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য) এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মোট টিকিটের ২৫ শতাংশ অনলাইনে পাওয়া যাবে।

খাবারের দোকানগুলোর জন্য খাবারের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। মেলায় খাবারের দাম যেন বেশি রাখা না হয়, সে ব্যাপারে কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে। একই সঙ্গে মেলার মাঠে চালু থাকবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম।

অনলাইনে মেলার সব তথ্য পাওয়া যাবে। যানবাহন পার্কিংসহ মেলায় সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে। রয়েছে ২টি মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপাক,ই-পার্ক এবং ব্যাংকের পর্যাপ্ত এটিএম বুথ।

সূত্র: বাসস