গণভবনের লনে সোনালি শৈশব, সঙ্গী প্রধানমন্ত্রী
গণভবনের সুবজ লন। লনের সুবজ ঘাসে ওপর তখন পৌষের সোনা রোদ। একদল শিশু হৈ হুল্লোড়ে ব্যস্ত। কেউ দোলনায় দোল খাচ্ছে কেউবা গণভবনের ছোট্ট পার্কে রাখা বিনোদনের সরঞ্জামগুলো নিয়ে ব্যস্ত। আবার দূরন্ত কয়েকজনের লন জুড়ে চলছে অহেতুক ছোটাছুটি।
গণভবনে আমন্ত্রিত এসব ক্ষুদে অতিথির দুরন্তপনার সঙ্গী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনিও এসব শিশুর সঙ্গে ক্ষণিকের জন্য তাঁর সোনালি শৈশবে ফিরে যান। প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত লন হয়ে ওঠে ছোট্ট শিশুদের খেলার মাঠ। তিনি একবার শিশুদের দোলনায় দোল দিচ্ছেন। কখনো আবার রাইডে স্লিপ কেটে আসা শিশুকে আগলে বুকে নিচ্ছেন। কারো কারো সঙ্গে ঘাড় দুলিয়ে মাথা নেড়ে খোশ গল্পে মেতে ওঠেন।
শেখ হাসিনা, শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কই নন। কখনও মা, কখনও বোন বা কখনও নানু-দাদু। তাই রাষ্ট্রীয় প্রটোকল ভেঙে এবং প্রশাসনিক ব্যস্ততার মাঝে সুযোগ পেলেই তাঁর এমন স্নেহের পরশ পান বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া বৃদ্ধ থেকে সব বয়সী মানুষ। তিনিও মিশে যান একবারেই সাধারণের কাতারে।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) নতুন বই বিতরণের উদ্বোধন দিনে শিশুদের সঙ্গে আনন্দমুখর এমন দিন কাটালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবনে ২০২০ শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন স্তরের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম অনুষ্ঠানে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দেন। এরপরেই বঙ্গবন্ধুকন্যাকে শিশুদের সঙ্গে মিশে যেতে দেখা যায়। শিশুরাও তাঁকে মুহূর্তের মধ্যে আপন করে নেন।
জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি প্রেস সচিব ইমরুল কায়েস রানা বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রাথমিক, ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী, জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের অনুষ্ঠান ছিল গণভবনে। সেই অনুষ্ঠানে অনেক স্কুলের শিশু-কিশোর উপস্থিত ছিল। অনুষ্ঠান শেষ হঠাৎ করে প্রধানমন্ত্রী তার ব্যক্তিগত লন শিশুদের জন্য উন্মুক্ত করে দেন। এরপর সেখানেই শিশুদের সঙ্গে সময় কাটান প্রধানমন্ত্রী।
সূত্রে জানা গেছে, শিশুরা যখন গণভবনের লনে খেলায় মেতে উঠেন তখন আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। দোলনায় বসা শিশুদের নিজেই দোল দেন প্রধানমন্ত্রী। শিশুদের সাথে গল্প ও নিজের স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণার পাশাপাশি তাদের নিয়ে হাসিমুখে ছবি তোলেন শেখ হাসিনা।