রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কয়েকজন প্রার্থীর প্রতিনিধিরা

মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কয়েকজন প্রার্থীর প্রতিনিধিরা

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ইটিআই ভবনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ও এর বাইরে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়ার সময় আরচণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।

সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘনের নানান চিত্র দেখা যায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার সকাল থেকেই কিছু প্রার্থী নির্ধারিত ৫ জনের বেশি লোক নিয়ে উত্তর সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আসেন। বিকেলে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের বাইরে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিরা জমায়েত হয়ে শো-ডাউন করেন।

উত্তরের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ফরিদুর রহমান ইরানের বড় ভাই জাবেদুর রহমান খান দুপুর ৩টার দিকে ৫ জনের বেশি লোক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন। জানতে চাইলে জাবেদুর রহমান বলেন, আমরা ৫ জনই এসেছি। বাকিরা কারা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি তাদের চিনি না।

মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন কয়েকজন প্রার্থীর প্রতিনিধিরা

এ ব্যাপারে উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, আচরণবিধি ভেঙে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দেয়ার বিষয়টি আমাদের চোখে পড়েনি। কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা কার্যালয়ের ৫ জনের বেশি লোকদের প্রবেশ করতে দেবে না। আমার বিশ্বাস, আসবে না।

সিটি করপোরেশন নির্বাচন আচরণ বিধিমালার ১১ নম্বর ধারায় বলা আছে, “মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোন প্রকার মিছিল কিংবা শো-ডাউন করা যাইবে না বা প্রার্থী ৫ জনের অধিক সমর্থক লইয়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন না।”

বিধিমালার বিধান লঙ্গনের শাস্তি হিসেবে বিধিমালার ৩০ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, “কোন প্রার্থী বা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার বিধান লঙ্ঘন করিলে অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড অথবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন।”

বিজ্ঞাপন