দুই সিটির ভোটে ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার হবে: ডিজি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এনআইডি বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

এনআইডি বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, ছবি: বার্তা২৪.কম

আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সব মিলিয়ে ৩৫ হাজার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি) মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনের এনআইডি উইংয়ের সম্মেলন কক্ষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, উত্তর ও দক্ষিণ মিলে ২৬০০ কেন্দ্র, এরমধ্যে ১৪ হাজার ৬শ বা তার বেশি ভোটকক্ষ থাকবে। বাস্তবতার নিরিখে এটি নির্ধারণ করা হবে। আমরা সিটি নির্বাচনের জন্য ইভিএম ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রয়েছি। দুই সিটির নির্বাচনে আমরা ৩৫ হাজার ইভিএম ব্যবহার করব। এজন্য প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারদের চিহ্নিত করেছি। তাদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা করেছি। এবং ভোটারদের প্রশিক্ষিত করতে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছি, লিফলেট, বুকলেট ও টিভি বিজ্ঞাপন তৈরি করেছি।

এনআইডি'র ডিজি বলেন, টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করেছি। ভোটাররা ইভিএমে যাতে ভোট দেয়ার সম্পূর্ণ ধারণা পেতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন স্থানে লিফলেট বিতরণ করা হবে, সেখানে সহজেই লেখা থাকবে মাত্র দুই বোতামে চাপ দিয়ে ভোট প্রদান করার বিষয়ে এবং কিভাবে ভোট প্রদান করতে হবে। ভোটের আগে ২৫ এবং ২৬ জানুয়ারি প্রত্যেক কেন্দ্র ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় কিভাবে ভোট প্রদান করতে হবে সে বিষয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে। ২৮ জানুয়ারি ফাইনাল মক ভোটিং করা হবে, সেখানে সশস্ত্রবাহিনী টেকনিক্যাল টিমও মোতায়েন থাকবে। ৩০ তারিখের মতো সেদিন মক ভোটিংয়ে কেন্দ্রগুলো সাজানো হবে।

নিরাপত্তার জন্য বাড়তি ব্যবস্থা থাকবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে যেভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করলে তাদের জন্য সুবিধা হবে সে অনুযায়ী নিরাপত্তা বাহিনী নিয়োগ হবে। নিরাপত্তার জন্য আনসার, পুলিশসহ প্রত্যেক কাজই আমরা করব। আর স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে র‍্যাব-বিজিবি অন্যান্য সময়ে যেমন থাকে সেভাবেই থাকবে। তবে তার সংখ্যা কত হবে সেটির ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র কোনগুলো, কোন কোন কেন্দ্রের রাস্তা সেরকম ভালো না- সার্বিক বিষয় বিবেচনা করেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।