‘টাকা লুট করার জন্যই তোবারককে হত্যা’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দিচ্ছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন, ছবি: বার্তা২৪.কম

মামা প্লাজা’র মালিক শাহ মো. তোবারক হোসেনের টাকা পয়সা লুট করার জন্য পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়। তোবারকের ব্যবসার দেখভালকারী শাহীন ও তার বাসার কেয়ারটেকার ইমন হোসেন পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করে।

এ ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে ডিবি। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- গোলাম রাব্বী, বাবুল প্রধান অরফে বাবু, সোহেল প্রধান, ইমন হোসেন অরফে হাসান ও আলামিন খন্দকার অরফে রিহান। তাদের কাছ থেকে ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু, শাবল, রশি উদ্ধার করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত কমিশনার আব্দুল বাতেন।

তিনি বলেন, ‘গত ২-৩ বছর আগে শাহীনকে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের করে দেন তোবারক হোসেন। শাহীনের চাকরি চলে গেলেও সে জানত তোবারকের কাছে নগদ টাকা থাকে। সেই নগদ টাকা লুট করার জন্য সাত মাস আগে পরিকল্পনা করে শাহীন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সে ইমন হোসেনকে হাসান নাম দিয়ে তোবারকের বাসায় পাঠান কেয়ারটেকার হিসেবে। এর মধ্যে তোবারক হোসেনের দৈনিক রুটিন জেনে নেয় ইমন হোসেন।’

গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা, ব্যবহৃত ছুরি ও দড়ি উদ্ধার করা হয়েছে

ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আরও বলেন, ‘পরে পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৫ ডিসেম্বর ভোরে ব্যবসায়ী তোবারক হোসেনকে তার শান্তিনিকেতনের বাসায় হত্যা করে। ঘরের আলমারি ভেঙে টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা। এই হত্যাকাণ্ডে মোট আটজন অংশ নেয়। গ্রেফতার আসামিদের কাছ থেকে নগদ ২ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও রক্তমাখা দড়িও। এ ঘটনায় জড়িত শাহিন, শিহাব ও হৃদয় পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতার করতে পারলে মোট কত টাকা লুট করা হয়েছিল তা স্পষ্ট হবে।’