দুই সিটির ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকছে ৩০ হাজার ইভিএম

  • ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ইভিএম, ছবি: বার্তা২৪.কম

ইভিএম, ছবি: বার্তা২৪.কম

আসন্ন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। আর এই ভোটের জন্য ৩০ হাজার ইভিএম মেশিন প্রস্তুত রাখছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাড়তি সংখ্যক ইভিএম প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, দুই সিটিতে ইভিএমে ভোটের জন্য ১৯টি পয়েন্ট থেকে প্রশিক্ষণ, ডেমোনেস্ট্রেশন, মক ভোটিং ও ভোটকেন্দ্রে বিতরণের জন্য ইভিএম রাখা হবে। এর মধ্যে উত্তরের ইভিএম থাকবে ৮টি পয়েন্টে, আর দক্ষিণের ১১টি পয়েন্টে। আগামী ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ইভিএমগুলো বণ্টন করা হবে। আর দুই সিটির ভোটের জন্য প্রস্তুত থাকবে প্রায় ৩০ হাজার ইভিএম। ভোটকক্ষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৬শ" হলেও যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাখা হবে অতিরিক্ত সংখ্যক ইভিএম।

আর ইভিএম পরিচালনার জন্য প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে সেনা সদস্য রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে তারা শুধুমাত্র টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে।

এ বিষয়ে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইভিএমে ভোটের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত এবং সক্ষম। দুই সিটিতে প্রায় ২ হাজার ৪শ'র বেশি কেন্দ্র রয়েছে। আর ১৪ হাজার ৬শ'র মতো ভোটকক্ষ থাকছে। তাই সব মিলিয়ে আমরা রিজার্ভসহ ৩০ হাজার ইভিএম রাখার পরিকল্পনা করছি। যাতে করে কোথাও ফেইল না করে। প্রতি কেন্দ্রে বাড়তি ব্যাকআপ হিসাবে একটি করে ইভিএম রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে। শনিবার থেকে ইভিএম পাঠানো শুরু হয়েছে।

ইসি ইভিএমের বিষয়ে যেভাবে নির্দেশনা দিয়েছে, সে অনুযায়ী বাস্তবায়ন করছেন বলেও জানানন তিনি।

এ বিষয়ে ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার’ শীর্ষক প্রকল্প পরিচালক (পিডি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামাল উদ্দিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুই সিটি মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার ইভিএম প্রস্তুত থাকবে। কেন্দ্রগুলোতে অতিরিক্ত সংখ্যক ইভিএম ব্যাকআপ হিসাবে রাখা হবে। আমরা ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে ইভিএমগুলো বিতরণ করব। আর প্রতিটি কেন্দ্রে টেকনিক্যাল সাপোর্টের জন্য দুইজন করে সেনাবাহিনীর সদস্য রাখবো।

ইসি সূত্র জানায়, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে সাধারণ ওয়ার্ড সংখ্যা ৫৪টি, সংরক্ষিত ওয়ার্ড সংখ্যা ১৮টি, মোট ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখ ৩৫ হাজার ৬২১ জন। আর সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি, সম্ভাব্য ভোটকক্ষের সংখ্যা ৭ হাজার ৫১৬ টি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৫টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ২৫টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। এ নির্বাচনে ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রের ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোটকক্ষে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ৪৮৮ ভোটার এ নির্বাচনে ভোটধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার দুই সিটি নির্বাচন একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। আর উত্তরের মেয়র আনিসুল হক মারা গেলে উপ-নির্বাচন হয়েছিলো চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি।

সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী, করপোরেশনের মেয়াদ হচ্ছে প্রথম সভা থেকে পরবর্তী পাঁচ বছর। আর ভোটের আয়োজন করতে হয় মেয়াদ পূর্তির পূর্ববর্তী ১৮০দিনের মধ্যে। সে অনুযায়ী, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৩ মে, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২০ সালের ১৬ মে।
 
বিজ্ঞাপন