পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং

বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে আসন্ন ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের বিষয়ে আলোচনা করতে ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্যালয়ে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন চীনের রাষ্ট্রদূত।

বিজ্ঞাপন

সাক্ষাৎ শেষে লি জিমিং বলেন, আমরা বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। ড. মোমেন আমাকে অনুরোধ করেছেন আলোচনার বিষয়ে কথা না বলতে। তার অনুরোধে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।

এর আগে গত ১১ ও ১২ ডিসেম্বর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবির পরির্দশন করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত। সেই সময় লি জিমিং বলেছিলেন, উভয় পক্ষ মিলে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান করতে হবে। তা না করতে পারলে সমস্যা আরও বাড়বে।

চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাব নিয়ে বেশির ভাগ মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই বলেন—চীন মিয়ানমারকে চাপ দিলেই সমস্যার সমাধান হয়, চীন যা বলবে মিয়ানমার তাই করবে। এ ক্ষেত্রে চীনকে অনেক বেশি কৃতিত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু সবাইকে মনে রাখতে হবে বাংলাদেশের মতোই মিয়ানমারও একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র।

তিনি বলেন, চীন দুই দেশের বন্ধুরাষ্ট্র হিসেবে উভয়কেই পরামর্শ ও উভয়ের মধ্যে সমন্বয়কের দায়িত্ব নিয়ে সহায়তা করতে পারে। এসব পরামর্শ বা সমন্বয় গ্রহণ করা পুরোটাই মিয়ানমারের নিজের ওপর নির্ভর করে। তবে বন্ধুত্বের জায়গা থেকে চীন সবসময়ই রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাজ করে যাবে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েই চীনের ওপর আস্থা রেখেছে। গত ২২ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে বাংলাদেশ, চীন ও মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে একটি ত্রিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় চীনকে যুক্ত করে ত্রিপাক্ষিক উদ্যোগের যাত্রা শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ত্রিপাক্ষিক ওয়ার্কিং গ্রুপের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আগামী ত্রিপাক্ষিক বৈঠকটিও চীনের উদ্যোগেই হচ্ছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর জাতিগত নিধন অভিযান শুরু হলে প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ৭ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের একাধিক শিবিরে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে।