দুই সিটির ভোট পেছানোর দাবি হিন্দু পরিষদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব স্বরসতী পূজার কারণে ঢাকা উত্তর করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভোটের তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদ।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সার্জন কুমার মিশ্র স্বাক্ষরিত প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বারাবর এক চিঠিতে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।

বিজ্ঞাপন

সিইসির উদ্দেশে চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। অতি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আপনার নিয়ন্ত্রনাধীন বিগত সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনগুলো সত্যি অত্যন্ত সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তাই দেশের জনগণ আপনার প্রতি শ্রদ্ধাশীল, বিশেষ করে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, কেননা নির্বাচন পূর্ব ও পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নানা নিপীড়ন ঘটে থাকলেও আপনার নিয়ন্ত্রাধীন নির্বাচনকালে এ সংক্রান্ত কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এইজন্য সকল সংখ্যালঘু জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সম্প্রতি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট গ্রহনের তারিখ আগামী ৩০ জানুয়ারি ২০২০ নির্ধারণ করেছেন। আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, উল্লেখিত তারিখে সনাতন ধর্মালম্বীদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব স্বরসতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকের নিজ নিজ বাড়িতে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাড়া মহল্লা, বিভিন্ন ক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে এ পূজা উদযাপন করে, অতএব উক্ত তারিখে ভোট গ্রহণ করলে দেশের বৃহৎ একটি অংশ ভোট গ্রহণে কিংবা পূজা উৎসব পালনে বিঘ্ন ঘটবে।

"তাই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ভোট প্রদান ও পূজা উৎসব পালন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করার সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী সরকার ব্যবস্থায় ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন বৃহৎ জনগোষ্ঠীর ভোট প্রদান ও পূজা উৎসব পালন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ভোট গ্রহণের তারিখ পরিবর্তন করার দাবি জানাই।"

উল্লেখ্য তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন দাখিলের শেষ সময় ৩১ ডিসেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ জানুয়ারি, প্রতীক বরাদ্দ হবে ১০ জানুয়ারি। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি।