মঙ্গল ও শান্তির প্রার্থনায় বড়দিন উদযাপন

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বড়দিন উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন গির্জাকে সাজানো হয় আলোকসজ্জাসহ রঙিন সাজে

বড়দিন উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন গির্জাকে সাজানো হয় আলোকসজ্জাসহ রঙিন সাজে

মঙ্গল আর শান্তির প্রার্থনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’। আনন্দ, উদ্দীপনা ও মানবতার পথে নিজেদের বিলিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে  গির্জায় প্রার্থনায় বসেছেন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।

বড়দিন উপলক্ষে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ভোর থেকে রাজধানীর গির্জা ও উপাসনালয়ে প্রার্থনার মধ্যদিয়ে নানা অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ফার্মগেটের পবিত্র জপমালা রাণীর গির্জায় প্রার্থনা সংগীত ও ‌মঙ্গল সমাচার পাঠ করা হয়। ভক্তরা সংগীত পরিবেশন করেন এবং অন্যান্য ভক্তরা দলে দলে মঙ্গল সমাচার শুনতে এখানে হাজির হন।

মঙ্গল ও শান্তির প্রার্থনায় বড়দিন উদযাপন

বড়দিনের বিশেষ প্রার্থনা শেষে গির্জার প্রধান পাদ্রী পট্রিক ডি রোজারিও কার্ডিনাল বলেন, পৃথিবীতে মানবতা বোধ কমে গেছে, আমরা সবাই প্রকৃত মানবতায় বেড়ে উঠি। আগামী দিনে শিক্ষা সেবা, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারি। মানবিক আচরণের মাঝে শান্তি বর্ষিত হোক।

প্রার্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা শিমুল ইনভা বলেন, আজ পৃথিবীতে এসেছে ঈশ্বর পুত্র যিশু খ্রিষ্ট। নানা চড়াই-উৎরাই প্রতিকূলতার মধ্যে তিনি পৃথিবীতে শান্তির বানী প্রচার করেছেন যার জন্য আমরা একটা সুন্দর পৃথিবী পেয়েছি। আজ তার আগমনী দিনে এখানে এসেছি তার জন্য এবং বিশ্বমানবতার কল্যাণে প্রার্থনা করতে।

সান্তাক্লজ সেজে শিশুদের মজার মজার উপহার বিতরণ

তীব্র শীত উপেক্ষা করেই সকাল থেকে এই গির্জায় এসেছেন খ্রিস্ট সম্প্রদায়ের মানুষ। সন্ধ্যা গোমেজ বলেন, শীত ঝড়-বৃষ্টি যাই হোক না কেন। আজ প্রভু যিশু খ্রিষ্টের জন্মদিন। সবকিছু উপেক্ষা করেই এখানে আসতে হবে। মানব কল্যাণের জন্য প্রভুর কাছে প্রার্থনা করতে চাই।

এদিকে বড়দিন উৎসব উপলক্ষে বিভিন্ন গির্জাকে সাজানো হয় আলোকসজ্জাসহ রঙিন সাজে। এর ভেতরের অংশ সাজানো হয়েছে বিভিন্ন জরি দিয়ে। সাজানো হয়েছে ক্রিসমাস-ট্রি।

বিশেষ প্রার্থনায় গির্জার প্রধান পাদ্রী পট্রিক ডি রোজারিও কার্ডিনাল

এছাড়াও রাজধানী ঢাকাসহ প্রত্যেকটি গির্জায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা  তেজগাঁও জোনের  এসি মাহমুদ হাসান জানান, দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শুধু খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের না ,দিনটিতে যেন সব ধর্ম-বর্ণের মানুষ নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে সে লক্ষ্যেই আমাদের এমন জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা।