পতাকা বিক্রির টাকায় জোটে ভাল খাবার

  • মাহিদুল মাহিদ, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পতাকা বিক্রির টাকায় জোটে ভাল খাবার শফিকুল ইসলামের/ছবি: বার্তা২৪.কম

পতাকা বিক্রির টাকায় জোটে ভাল খাবার শফিকুল ইসলামের/ছবি: বার্তা২৪.কম

পরিবারের সদস্যদের মুখে দুমুঠো অন্ন তুলে দেওয়ার জন্য সুদূর কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার টঙ্গীতে এসেছিলেন শফিকুল ইসলাম ও শহিদ মিয়া। ভাগ্যের নিমর্ম পরিহাসে কোনও কাজ না পেয়ে হয়েছেন ভ্রাম্যমাণ ফেরিওয়ালা। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, কিন্তু জানেন না আজকের দিনের মর্মকথা। তবে দিনটির কথা স্মরণ রাখতে হয় তাদের। এই দিনেই তারা দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা আয় করতে পারেন।

শফিকুল ইসলাম ও শহিদ মিয়া ভোর ৪ টার সময় টঙ্গী থেকে স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন। অনেক কষ্ট করে আশুলিয়ার বাইপাইলে এসে, স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত বাকি পথ হেঁটে এসেছেন। বাড়তি লাভের আশায় মুল ব্যবসা ছেড়ে বিজয় দিবসে ছোট ছোট পতাকা বিক্রি করছেন।

বিজ্ঞাপন

শহিদ মিয়া পাড়া মহল্লায় ঘুরে বিভিন্ন রকম বস্তা সংগ্রহ করে তা ২৫ পয়সা বা তার কিছু বেশি লাভে বিক্রি করেন। তবে ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ ও ১৬ ডিসেম্বর আসলেই সারা মাস ধরে বিক্রি করেন পতাকা। পতাকা বিক্রি করে সারা বছরে মাত্র তিন মাস পরিবারের জন্য ভাল খাবর যোগান দেন।

শহিদ মিয়া বলেন, আমি পাড়া মহল্লায় ঘুরে ঘুরে বস্তা কার্টুন সংগ্রহ করি। পরে পাইকারি দোকানে অল্প লাভে বিক্রি করে দিনে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আয় করি। তবে বছরে তিন মাস পতাকা বিক্রি করি। মোটামুটি দিবসের আগের দিন ও দিবসের দিনে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করতে পারি। বছরে এই তিন মাসই আমরা সারা বছরের চেয়ে ভাল খেতে পারি।

পতাকা বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি উত্তরা আজমপুর রাস্তায় ঘুরে আচার বিক্রি করি। যা আসে তা দিয়ে কোনমতে সংসার চলে। আর কোন দিবস আসলেই বের হই পতাকা নিয়ে। দিবসের সারা মাস চলে এই ব্যবসা। পতাকা বিক্রির মাঝে আলাদা শান্তি আছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, এই পতাকার জন্যই আমাদের দেশের লাখ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। সেই পতাকা বিক্রি করতে পেরে সত্যিই অনেক ভালই লাগে।