বিদেশে নারী শ্রমিকদের পাঠানো বন্ধ করা উচিত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

"বেগম রোকেয়ার শিক্ষা ও কর্ম: বর্তমান বাস্তবতা" শীর্ষক সেমিনারে, ছবি: বার্তা২৪.কম

"বেগম রোকেয়ার শিক্ষা ও কর্ম: বর্তমান বাস্তবতা" শীর্ষক সেমিনারে, ছবি: বার্তা২৪.কম

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) চেয়ারম্যান কাজী খালীকুজ্জমান আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে বিদেশে নারী শ্রমিকদের পাঠানো বন্ধ করা উচিত।

সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে "বেগম রোকেয়ার শিক্ষা ও কর্ম: বর্তমান বাস্তবতা" শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, 'আমাদের বাসা বাড়িতে যে কাজের মেয়েরা কাজ করে তাদেরকে কি আমরা সম্মান দেই? দেই না। তাহলে মধ্যপ্রাচ্যের মতো দেশে বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের কেনো সম্মান দেবে। আমাদের স্বাধীন দেশের মেয়েরা কেনো বিদেশে কাজ করতে যাবে? এটা ভেবে আমার খারাপ লাগে। আমাদের দেশে নারীদের কর্মক্ষেত্র কম তবে আস্তে আস্তে হবে। আমি মনে করি বিদেশে নারী শ্রমিকদের পাঠানো বন্ধ করা উচিত।'

খালিকুজ্জামান আরো বলেন, আইন কাজ করে দরিদ্রদের জন্য, শক্তিশালীদের জন্য আইন কাজ করেনা। একদিনে সব কিছু সমাধান করা সম্ভব নয়, বেগম রোকেয়াও একদিনে নারী জাগরণের সব কিছু করতে পারেননি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া, প্রচেষ্টার পর তিনি নারী জাগরণে সফল হয়েছেন। ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে অনেক নারী সংগঠন নারীদের নিয়ে কাজ করছে এবং অনেক কিছুতেই তারা সফলতা অর্জন করেছে। আমাদের নারী জাগরণের অগ্রগতিতে কিছু সমস্যা আসবে, সে সমস্যাগুলোকে সমাধান করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অনেকগুলো ক্লাব কাজ করছে যার ফলে নারী নির্যাতন কমে যাচ্ছে।

সেমিনারের সভাপতির বক্তব্যে ড. নিলুফার বানু বলেন, নারীদের এগিয়ে নিতে শুধু সরকারের না পরিবারের ও দায়িত্ব আছে। মেয়েরা অনেক খেলাতে অংশগ্রহণ করে স্বর্ণ পদক পেয়েছে। বর্তমানে অনেক এগিয়ে এসেছে মেয়েরা। তবে আইনের ক্ষেত্রে নারী ঘোষিত ব্যাপারগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। বিচারব্যবস্থা যেন দীর্ঘ না হয়, সেটার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে। এখন যে অবস্থা তাতে মেয়েরা রাস্তায় চলতে ভয় পায় না। গ্রামেও মেয়ে শিশুরা এখন স্কুলে যাচ্ছে।

সেমিনারে আরো উপস্থিত ছিলেন, উইমেন ফর উইমেনের সম্পাদক শামসুন্নাহার, রাশেদা আক্তার খানম, ড. আলিয়া পারভীন সহ গবেষক, এনজিও প্রতিনিধি, সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।