দৃশ্যমান হচ্ছে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন

  • সোনার বাংলা এক্সপ্রেস থেকে তৌফিকুল ইসলাম, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দৃশ্যমান হচ্ছে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন, ছবি: বার্তা২৪.কম

দৃশ্যমান হচ্ছে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন, ছবি: বার্তা২৪.কম

দৃশ্যমান হচ্ছে লাকসাম-আখাউড়া ৭২ কিলোমিটার ডাবল রেললাইন (ডুয়েলগেজ)। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এই প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ধীরে ধীরে আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ কাজের অগ্রগতি হচ্ছে এবং দৃশ্যমান হচ্ছে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কমলাপুর থেকে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনে চেপে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় ট্রেনটি আখাউড়া পৌঁছালে সরেজমিনে দেখা যায়, আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজ রেল লাইনের কাজের অগ্রগতি।

বিজ্ঞাপন
স্লিপার বসানো হয়েছে আখাউড়া-লাকসাম রেললাইনে, ছবি: বার্তা২৪.কম

এর মধ্যে প্রকল্পটির অগ্রগতি চোখে পড়ার মত। কাজ চলছে পুরোদমে। প্রকল্প এলাকার অনেক জায়গার মাটি ভরাট করে লেভেলিং করা হয়ে গেছে। একই সঙ্গে কিছু কিছু জায়গায় স্লিপার বসানোও শেষ হয়েছে। এছাড়া এ লাইনে ১৩টি বড় সেতুসহ মোট ৪৬টি ছোট-বড় সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে কিছু সেতু নির্মাণ কাজ দৃশ্যমান হয়েছে।

জানা গেছে, আখাউড়া লাকসাম ডাবল লাইনের রুট হলো ৭২ কিলোমিটার এবং ট্র্যাক হলো ১৪৪ কিলোমিটার। এছাড়া ইয়ার্ড, লুফ লাইনসহ মোট ১৮৪ দশমিক ৬০ কিলোমিটার নির্মাণ করা হবে।

আখাউড়া-লাকসাম রেললাইন ডুয়েলগেজ করার জন্য কাজ চলছে, ছবি: বার্তা২৪.কম

এদিকে, আখাউড়া-লাকসাম রেলপথটি বর্তমানে মিটারগেজ (সিঙ্গেল লাইন) অবস্থায় রয়েছে। রেলপথটিকে ডুয়েলগেজ উন্নীত করার প্রকল্পটি ২০১৪ সালে অনুমোদন পায়। সব জটিলতা কাটিয়ে ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হয়।

চায়না রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এবং বাংলাদেশের তমা কনস্ট্রাকশন ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার যৌথভাবে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ করছে। ডাবল লাইন নির্মাণে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৫০৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দেওয়া আছে ২০২০ সালের জুন মাস নাগাদ। প্রকল্পের কাজ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে আখাউড়া-লাকসাম ডাবল রেল লাইনের কাজ।