সামাজিক অবিচারই দারিদ্র্য দূর না হওয়ার কারণ: পরিকল্পনামন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সেমিনারে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান (বাঁ থেকে চতুর্থ), ছবি: বার্তা২৪.কম

সেমিনারে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান (বাঁ থেকে চতুর্থ), ছবি: বার্তা২৪.কম

সামাজিক অবিচারের কারণেই প্রকট দারিদ্র্য দূর হচ্ছে না বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান। তিনি বলেন, অবিচারটা আমাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে গেছে। গরিবরা তো কাজ করবেই, তাদের তো রোগ থাকবেই, গরিবের সন্তান তো এবতেদায়ি মাদরাসায় যাবেই- এ ধরনের একটা বিশ্বাস রয়েছে মানুষের মধ্যে। বদ্ধমূল এ ধারণা কীভাবে দূর করা যাবে, আমি জানি না। এটা কোনো কর্মসূচির ব্যাপার নয়, এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কোনো পলিসির ব্যাপার নয়।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘কাউকে পশ্চাতে রেখে নয়, হাওর উন্নয়নে সমন্বিত প্রয়াস’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ব্র্যাক সমন্বিত উন্নয়ন কর্মসূচি এ সেমিনারটি আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

দারিদ্র্য দূরীকরণে বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, সরকার বড় বড় প্রকল্প নিয়ে কাজ করে। অনেক এলাকা নিয়ে, লক্ষ-কোটি মানুষ নিয়ে কাজ করার সময় স্বাভাবিক নিয়মেই এখানে ওখানে কিছু বাদ পড়ে যায়। সেখানে আপনাদের একটা ভূমিকা আছে। সরকার কিন্তু ইচ্ছে করে কাউকে বা কোনো এলাকা ফেলে যায় না। সরকারের কিছু কিছু সংস্থা আছে, যেগুলো ওখানে কাজ করছে। সবার জন্য এখানে জায়গা আছে। প্রচুর দরিদ্র্য আছে। আরো কয়েক যুগ এখানে কাজ করার পরও দারিদ্র্য দূর হবে কি না, আমার সন্দেহ আছে। তবে কাজ চালাবার মতো একটা অবস্থায় আমরা এনেছি।

দারিদ্র্য দূরীকরণে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, সরকারি সংস্থার তথ্য উপাত্ত নিয়ে আমারও সংশয় আছে। আমরা এটা নিয়েই কাজ করছি। অনেক পরিকল্পনা আমরা বানাই। লেয়ারের পর লেয়ারে পরিকল্পনা আছে। বাংলাদেশের মতো এতো পরিকল্পনার দেশ বোধ হয় কমই আছে। বার্ষিক আছে, পঞ্চ বার্ষিকী আছে, ১০ বছরের আছে, ২০ বছরের আছে, ৪০ বছরেরও পরিকল্পনা আছে। বছরের পর বছর ধরে আমাদের নিজস্ব সংস্থা থেকে তথ্য নিয়ে আমরা এসব পরিকল্পনা করেছি। মন্দ হোক, ভালো হোক, আমাদেরই সংস্থা।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্র সভাপতিত্বে সেমিনারে আরো বক্তব্য দেন ব্র্যাকের পরিচালক (সমন্বিত উন্নয়ন) আন্না মিনজ, সমন্বিত কর্মসূচি উন্নয়ন প্রধান শ্যামা সুন্দর সাহা, অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি অ্যাঞ্জেলা নাউম্যান, ব্র্যাক পরিচালক (পার্টনারশিপ অ্যান্ড আসিটি) কেএএম মোর্শেদসহ অনেকে।