‘সাগর-রুনি ও তনু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের সময় দেয়া উচিত’

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি ও তনু হত্যা মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তদন্ত কর্মকর্তাদের সময় দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে হলি আর্টিজান মামলার রায় নিয়ে ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।

বিজ্ঞাপন

সাগর-রুনি ও তনু হত্যা মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেকেই বলেন সাগর-রুনি ও তনু হত্যা মামলা এখনো শেষ হয়নি। এই দুইটি মামলা তদন্তাধীন আছে। তদন্ত যতক্ষণ পর্যন্ত শেষ না হবে, এবং তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সংস্থা যতক্ষণ না পর্যন্ত সন্তুষ্ট হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত মামলার অভিযোগপত্র বা ফাইনাল রিপোর্ট দেওয়া উচিত না। আমাদের সকলকে তদন্ত কর্মকর্তাদের সেই সময়টুকু দেওয়া উচিত।

তিনি বলেন, গতকাল আমেরিকায় ৩৬ বছর জেল খাটার পর আসামিরা নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছে। এ রকম ঘটনা যাতে না ঘটে সেটাও আমাদের দেখা উচিত। তাই এই মামলাগুলো তদন্তাধীন আছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত মামলার শেষ এবং আসামি কারা সেটা দেখা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তদন্ত চলবে। নুসরাত হত্যা মামলার রায়ে বলেছি দ্রুত পেপারবুক তৈরি করে যাতে হাইকোর্টের তালিকায় আনা যায় সে ব্যবস্থা করা হবে। নুসরাতের মামলার পেপারবুক আমার মনে হয় ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। আর ২১শে আগস্ট মামলার পেপারবুক চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে। আশা করি আগামী বছর এই দুইটি মামলার হাইকোর্টের শুনানি শেষ করতে পারব।

২০০৫ সালে ৬৪ জেলার ৫০০ স্থানে জঙ্গি হামলার ঘটনায় মামলার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, আমাদের সদিচ্ছার অভাব নেই। যেখানে যেখানে মামলাগুলো ঝুলে আছে, সেগুলো শেষ করার চেষ্টা করছি। এগুলো আমরা দ্রুত শেষ করতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।

গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রয়াত সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা মামলার রায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আগামীকাল প্রাক্তন এমপি লিটন হত্যা মামলার রায় দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় সুন্দরগঞ্জের বামনডাঙ্গার মাস্টারপাড়ার নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ৫-৬ জনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে লিটনের বোন ফাহমিদা বুলবুল কাকলী।