সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

রোববার (২৭ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সম্পর্কিক একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এতে বলা হয়, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) জাহাঙ্গীর আলমের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে। তাই সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারায় দেওয়া ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর দেওয়া হলো।

মো. জাহাঙ্গীর আলম বিধি অনুযায়ী অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন বলেও প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে। জাহাঙ্গীর আলম এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ছিলেন। গত ২০ আগস্ট তাকে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে বদলি করা হয়েছিল।

দেশের প্রায় ৩২টা উপজেলায় আমাদের কোনো ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন নেই- বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

তিনি বলেন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখানে ফায়ার স্টেশন করার চিন্তা ভাবনা করছি। একই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের জনবল হয়তো আরও বাড়াতে হবে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ফায়ার বিগ্রেড সম্পর্কে সবাই অবগত আছেন। তারা দেশ ও জাতির জন্য খুব ভালো কাজ করে আসছে। তাদের কিন্তু কোথাও কোনো ব্যর্থতা নেই। তারপরও তাদের কিছু সীমাবদ্ধ আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় ফায়ার সার্ভিসের একটি একাডেমি করার জন্য জায়গা নেওয়া হয়েছে। জায়গাটি আমরা এখনো তাদের প্রশিক্ষণের জন্য উপযোগী করে তুলতে পারি নাই। এটা কত তাড়াতাড়ি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করছি। কত দ্রুত উপযোগী করা সম্ভব সেটা করবো।

ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক করার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক করা হয়নি বিষয়টি এমন নয়। আমাদের অনেক আধুনিক প্রযুক্তি আছে। কিন্তু বিদেশিদের সঙ্গে যদি আপনি তুলনা করেন তাহলে ওই হিসেবে কিছু ঘাটতি আছে। আমরাও কিন্তু আধুনিক প্রযুক্তির দিকে যাচ্ছি।

এর আগে ফায়ার সার্ভিসের আধুনিক বিভিন্ন প্রযুক্তি ঘুরে দেখেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এসময় উপস্থিত ছিলেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীতে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসানসহ পুলিশের উপর হামলা চালিয়েছে জেলেরা।

হামলায় এএসআই হেলাল আঘাতপ্রাপ্ত হয় ও একজন পুলিশ কনস্টেবল এর আঙুল ফেটে যায়।

রোববার (২৮ অক্টোবর) বিকালে তেতুলিয়া নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চলার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে দুটি নৌকা জব্দ ও শাকিল নামক জেলেকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় ২৫ জন হামলাকারী জেলে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া হামলাকারী জেলেরা উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের জয়া বেড়ীর মাথা মাছ ঘাট ও নয়নের খাল মাছ ঘাট এলাকার জেলে।

বোরহানউদ্দিনের সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান জানান, নিষিদ্ধ সময়ে মা ইলিশ শিকারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকা অবস্থায় ২টি নৌকায় প্রায় ২০-২৫ জন ব্যক্তিকে ইলিশ ধরতে দেখা যায়।

এদেরকে ধরতে সঙ্গীয় ৩ জন পুলিশ সদস্য ও নিরস্ত্র ৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মিলে তাড়া করার সময় পুলিশ সদস্যসহ আমাদের উপর আক্রমণ করে। পরবর্তীতে ২টা নৌকা জব্দ ও একজনকে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তিকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় এবং বেশিরভাগ অপরাধী পালিয়ে যাওয়ায় নিয়মিত মামলা দায়েরের জন্য উপজেলা মৎস কর্মকর্তাকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার জন্য বলা হয়। জনস্বার্থে মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

উল্লেখ্য বোরহানউদ্দিন উপজেলার তেতুলিয়া নদীর গঙ্গাপুর ইউনিয়নের বেড়ীর মাথা নামক মাছ ঘাট ও নয়নের খাল মাছ ঘাট এলাকায় প্রকাশ্য মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। প্রশাসনের কঠোর অভিযানেও নিয়ন্ত্রণ হচ্ছেনা দুটি মাছ ঘাটের জেলেরা। তবে নৌ বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

সাভারের আশুলিয়ায় বেকারির মিক্সার মেশিনে পড়ে ইমরান (২৪) নামে এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকাল সাতটার দিকে আশুলিয়ার টেংগুরি নির্মাণটেক এলাকার মালা বেকারিতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইমরান মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ব্যাংচড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার টেংগুরি নির্মাণটেক এলাকায় মৃত. মাহাতাবের বাড়িতে থেকে মালা বেকারিতে চাকুরী করতেন।

মালা বেকারির শ্রমিকরা জানায়, প্রতিদিনের মত সকাল থেকেই ইমরান কাজে যোগ দিয়ে ময়দা মিক্সার করতে থাকে। অসাবধানতাবশত তার একটি হাত মেশিনে আটকে যায় এবং ধীরে ধীরে মেশিনের ভেতরে আটকে যায়। এসময় ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।

বেকারির মালিক ইমদাদুল জানান, ইমরানের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। দুই বোন আছে। সে ছোট বেলা থেকেই তাদের (ইমদাদুল) বেকারিতে কাজ করে। সম্পর্কে তাদের চাচা হন। তারা দুই ভাই (ইমদাদুল ও আনোয়ার) বেকারি পরিচালনা করেন। প্রতিদিনের ন্যায় সকালে ইমরান কাজে আসে এবং অসাবধানতার কারণে ময়দা মিক্সার করার মেশিনে ঢুকে যায়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এলাকাবাসি জানায়, এই বেকারির কোনো অনুমোদন নেই। অনুমোদন না নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বেকারি চালাচ্ছে। শিশু শ্রমিক দিয়েও এই বেকারি চালানোর অভিযোগ করেন এলাকাবাসি।

আশুলিয়া থানার এসআই মদন শাহা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।