আগামী নির্বাচনের জন্য নগরবাসীর আর্শীবাদ চাইলেন মেয়র খোকন

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, উন্নয়নের স্রোতে বদলে যাওয়া এক নতুন নগরীর নাম ঢাকা। আমরা সবাই মিলে এই ঢাকাকে বদলে দিতে চাই, আমাদের জন্য এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আগামী নির্বাচনে সবার আর্শীবাদ চাই। আমরা আবার ক্ষমতায় আসলে হাতে হাত, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই শহরকে বদলে দেব, নতুন ঢাকা উপহার দেব।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর পলাশী মোড়ে শহীদ হাজী আব্দুল আলীম খেলার মাঠ উদ্বোধনের প্রাক্কালে তিনি এ সব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী সেলিম, ডিএসসিসি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, স্থানীয় কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

ডিএসসিসি’র বিভিন্ন উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এক সময় আজিমপুর কবরস্থানে বৃষ্টি হলে ৪-৫ ফুট পানি জমে যেত। এতে মরদেহ দাফন করতে সমস্যা হত। সেখানে সংস্কার হয়েছে এখন আর পানি জমে না। তার পাশেই আমার প্রয়াত পিতা মেয়র হানিফের নামে একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ করেছি। অসংখ্য উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড করেছি। আমাদের কাউন্সিলর ও স্থানীয় সংসদ সদস্যদের সহযোগিতায় আমরা এসব কাজ করেছি।

তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় এক সময় স্ট্রিক লাইট ছিল না। এখন প্রতিটি অলি গলিতে এলইডি বাতির আলোয় আলোকিত ঝলমলে রাজধানী। ঢাকা আজ উন্নয়নের স্রোতে বদলে যাওয়া এক নতুন নগরীর নাম।

ডিএসসিসি’র উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বলেন, আমাদের ডিএসসিসি’র বাৎসরিক আয় সব মিলিয়ে ৪০০ কোটি টাকা আর ব্যয় ৪০০ কোটি টাকার বেশি হয়ে যায়। প্রশ্ন আসতে পারে এতো উন্নয়ন প্রকল্প কিভাবে করলাম? হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কিভাবে করলাম? এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য।

মেয়র বলেন, আমরা সবাই মিলে এই ঢাকাকে বদলে দিতে চাই, আমাদের জন্য আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য। এই বদলে দেওয়ার ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য আপনারা বিগত নির্বাচনে শেখ হাসিনা মনোনীত প্রার্থীদের যেভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। নেত্রী যদি আমাকে মেয়র হিসেবে এবং কাউন্সিলরদের মনোনয়ন দেন তাহলে আপনাদের দোয়া এবং ভালবাসা ও আর্শীবাদ চেয়ে গেলাম। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য। আমরা আবার দায়িত্ব পেলে হাতে হাত মিলিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই শহরকে বদলে দেবো, নতুন ঢাকা উপহার দেবো।

মেয়র বলেন, শুধু এই মাঠই না। পুরান ঢাকায় এরকম ১২টি মাঠ আমরা উপহার দেব। কিছুদিনের মধ্যে বাসাবো খেলার মাঠ, জোড়পুকুর খেলার মাঠ, রসুলবাগ পার্ক এগুলো পুরান ঢাকাকে উপহার দেবো।

ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর শহীদ হাজী আব্দুল খেলার মাঠটির আয়তন প্রায় ৭৫ কাঠা। ডিএসসিসি’র জল সবুজের ঢাকা প্রকল্পের আওয়তায় এই মাঠটি করতে ব্যয় হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা। মাঠে যে সকল সুবিধাভোগ করবে নগরবাসী- ফুঠবল খেলার জন্য জায়গা, ক্রিকেট খেলার নেট প্র্যাকটিস, পায়ে হাঁটার জন্য ২৫০ মিটার ওয়াকওয়ে, বসার জন্য সার্বক্ষণিক খোলা জায়গা, শিশুদের জন্য পৃথক জায়গা, জিমনেসিয়াম ও টয়লেট, ক্যাফেটেরিয়া/ কফিশপ, ফ্রি ওয়াইফাই, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট। এই ট্রিটমেন্ট প্লান্ট দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় ৬ হাজার লিটার পানি বিশুদ্ধ করা যাবে যা মাঠ ও আশপাশের খাবার পানি সাপ্লাই হবে। রয়েছে সিসিসি ক্যামেরা, ওয়েস্ট বিন, ফুলের গাছ।

এই মাঠ উদ্বোধনের পূর্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম ও তার অনুসারীর কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিকের ওপর ক্ষিপ্ত হন। মাঠের প্রবেশ দ্বারে যে ভিত্তিপ্রস্তর নাম ফলক রয়েছে সেখানে এমপি হাজী সেলিমের নাম না থাকায় তিনি উত্তেজিত হন। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউন্সিলরের গায়ে হাত তুলেন। পরে অবশ্য মেয়র সাঈদ খোকন এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এরপর সবাইকে নিয়ে মঞ্চে উঠে বেলুন উড়িয়ে মাঠের উদ্বোধন করেন। তবে নাম ফলকে যেখানে উদ্বোধন করার কথা ছিল সেখানে আর যাননি মেয়র। মঞ্চে বক্তৃতার এক পর্যায়ে এমপি হাজী সেলিমের সঙ্গে মাথা এগিয়ে কথা বলতে দেখা যায় কাউন্সিলরের এসময় হাজী সেলিম তার মাথায় হাত বুলিয়ে শান্ত করেন তবে কাউন্সিলরকে কয়েকবার কান্না করতে দেখা গেছে।