সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের আলোচনা সভা

বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের আলোচনা সভা

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ডায়াবেটিস আমাদের সুন্দরভাবে জীবনযাপনকে ব্যাহত করে। সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ডায়াবেটিস অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

এজন্য সার্বিক সচেতনতার পাশাপাশি পরিমিত খাবার গ্রহণ ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা দরকার বলেও জানান তিনি।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর )রাজধানীর শাহবাগে বারডেম মিলনায়তনে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি কর্তৃক ‘বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সমবায়মন্ত্রী।

ডেঙ্গু পরিস্থিতির উদাহরণ দিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা যখন কীটনাশক ছিটানোর চেয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিয়েছি তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে এসেছে। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান কার্য্ক্রমে এ রোগের প্রতিকার ও প্রতিরোধে বিভিন্ন বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান তিনি।

আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, বর্তমানে বাংলাদেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৭০ লাখ, যা ২০৪০ সাল নাগাদ ১ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম প্রতিষ্ঠিত বারডেম ৫০ হাজার রোগীর কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে সেখানে রেজিস্টার্ড ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি পরিবারেই এক বা একাধিক ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে।

বক্তারা জাতীয় ডায়াবেটিস প্রতিরোধ নীতি ২০১৩ বাস্তবায়নের প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেন। বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘আসুন, পরিবারকে ডায়াবেটিস মুক্ত রাখি’।

বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক মো. ফারুক পাঠান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক জাফর এ লতিফ। আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির মহাসচিব অধ্যাপক মো. সাইফ উদ্দিন।