ফারাক্কার সব গেট খুলে দিয়েছে ভারত, বন্যার শঙ্কা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

রাজশাহীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিহার ও উত্তরপ্রদেশে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হওয়ায় ফারাক্কা ব্যারাজের সবগুলো (১০৯) গেট খুলে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সবগুলো গেট খুলে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সাহিদুল আলম। ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমেও ফারাক্কার সবগুলো গেট খুলে দেয়ার বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পদ্মার রাজশাহী পয়েন্টে বর্তমানে বিপৎসীমার ৪৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ফারাক্কা ব্যারাজের গেট খুলে দেয়ার খবরে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁসহ উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ জেলার মানুষের মধ্যে বন্যা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী (উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল) সৈয়দ সাহিদুল আলম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘পানির তোড়ে ফারাক্কা ব্যারাজের সকল গেট খুলে দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। টানা বৃষ্টি ও অব্যাহত পানি বৃদ্ধির মাঝে খবরটি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য অবশ্যই আতঙ্কের। তবে আগাম সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। আশা করি বন্যার সৃষ্টি হলেও ক্ষয়-ক্ষতি কম হবে।’

 ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

 

তিনি আরও বলেন, ‘রাজশাহীর পদ্মায় গত ১৫ দিন ধরে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মার রাজশাহীর পয়েন্টে পানির প্রবাহ ছিল ১৮ দশমিক ০১ সেন্টিমিটার। সকাল ৯টায় ছিল ১৭ দশমিক ৯২ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ সকাল থেকে সন্ধ্যায় পানি বেড়েছে ৯ সেন্টিমিটার। এখন ফারাক্কার সব গেট খুলে দেয়ায় পদ্মার রাজশাহী পয়েন্টে দু’দিনে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে প্লাবিত হতে পারে নিম্নাঞ্চল।’

রাজশাহী জেলা প্রশাসক হামিদুল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার কয়েকটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ফারাক্কা খুলে দেয়ার বিষয়টি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে কথা হয়নি। দ্রুত সব দপ্তর সমন্বয় করে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজশাহী জেলার বাঘা, চারঘাট, গোদাগাড়ী, পবা উপজেলার বিভিন্ন চর ও নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে প্রায় ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

অপরদিকে, চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা ও মহানন্দা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।