মন্ত্রীর ফোনে বিএমডিএ’র ৮ প্রকৌশলীর স্ট্যান্ডরিলিজ বাতিল

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) শীর্ষ আট প্রকৌশলীর স্ট্যান্ড রিলিজের আদেশ বাতিল করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

রোববার (০৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীকে টেলিফোন করে আদেশ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন তিনি। নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বিএমডিএ’র তিন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে বিএমডিএ’র সচিব মো. রেজাউল আলম সরকার বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাৎক্ষণিক বদলির আদেশ বাতিল করা হয়েছে। ফলে আগের কর্মস্থলে থাকবেন তারা। তবে কেন আদেশ বাতিল করা হয়েছে, তা আমি বলতে পারব না।’

জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযানের পরপরই আট কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়। ওই দিন রাতে বিএমডিএ’র ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. আশরাফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী স্ট্যান্ডরিলিজ হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. শামসুল হোদা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ড. মো. আবুল কাশেম, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল লতিফ, নির্বাহী প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) মো. তরিকুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলম খান, জয়পুরহাট রিজিয়নের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন্ত কুমার বসাক, রাজশাহীর পবা জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. রাহাত পারভেজ ও দুর্গাপুর জোনের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শামসুল আলম।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে বিএমডিএ’র চেয়ার‌ম্যান ড. আকরাম হোসেন চৌধুরীকে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান বিএমডিএ। সম্প্রতি পুকুর খননে প্রশিক্ষণ নিতে বিএমডিএ’র একটি প্রকল্পের এক কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬ জন সরকারি কর্মকর্তার বিদেশ সফরের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি।

এর আগে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত অডিট আপত্তি, ৫০ লাখ টাকার হিসাব জালিয়াতি, চলমান প্রকল্পে অনিয়ম, সরকারি পরিপত্র অমান্য করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বেতন স্কেল দেওয়া ও পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারসহ ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

সাম্প্রতি লিখিত অভিযোগ পেয়ে বিএমডিএ’র প্রধান কার্যালয়ে আকস্মিক অভিযান পরিচালনা করে দুদক। অভিযানে প্রাথমিক তদন্তে প্রায় সাত কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পান দুদক কর্মকর্তারা।