বিএমডিএ কার্যালয়ে অভিযান, ৭ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেল দুদক

  • স্টাফ করেসপন্ডেট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বিএমডিএ'র প্রধান কার্যালয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বিএমডিএ'র প্রধান কার্যালয়, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) চার খাতে প্রায় ৭ কোটি টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত রাজশাহী নগরীর উপশহরে অবস্থিত বিএমডিএ'র প্রধান কার্যালয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধানে গিয়ে দুর্নীতির এ নজির পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন ও বায়েজিদুর রহমান খান এ অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান চলাকালীন বিএমডিএ'র কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন দুদকের অনুসন্ধানী কর্মকর্তারা

 

অনুসন্ধান দলের প্রধান আলমগীর হোসেন বলেন, 'কোটেশনের মাধ্যমে কেনাকাটা, আম বাগান ইজারা, সরকারি পরিপত্র অমান্য করে বেতন স্কেল প্রদান ও পল্লী বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। পুকুর খননে ১৬ জন কর্মকর্তার বিদেশ সফর বিষয়েও তাদের ব্যাখ্যা শুনেছি।'

দুদক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন আরও বলেন, প্রাথমিক তদন্তে যা পেয়েছি, সেগুলো প্রতিবেদন আকারে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেখানকার নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যদি দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রধান কার্যালয় মামলা করতে বলে, তবে সেটাও করা হবে। মামলার পরই দুর্নীতির খাতগুলোর চূড়ান্ত তদন্ত করা হবে বলেও জানান তিনি।

রাজশাহী দুদক কার্যালয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি বিএমডিএ'র দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে দুদকের উপ-পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মাসুদুর রহমান বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এক আদেশে দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালককে তদন্ত করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে নির্দেশ দেন। এ আদেশের পরদিনই দুদকের দুই কর্মকর্তা বিএমডিএ'তে অনুসন্ধানে যান।

আরও পড়ুন, পুকুর খননে প্রশিক্ষণ নিতে বিদেশ যাচ্ছেন বিএমডিএ’র ১৬ কর্মকর্তা!

এদিকে, দুদকের অভিযানে প্রাথমিক অনুসন্ধানে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএমডিএ'র কোনো কর্মকর্তা এ ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হননি। বিএমডিএ’র চেয়ারম্যান ড. মো. আকরাম হোসেন চৌধুরীকে কয়েক দফা ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে যোগাযোগের জন্য মেসেজ পাঠানো হলে তিনি 'ব্যস্ত আছেন' জানিয়ে মেসেজের উত্তর দিয়েছেন।