পাটকল শ্রমিকদের ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

বিজেএমসির দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করায় ৯ দফা দাবিতে খুলনাসহ সারাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা দ্বিতীয় দফা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

সোমবার (১ এপ্রিল) সকালে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন কর্মসূচির প্রথম দিনে শ্রমিকরা লাল পতাকাসহ লাঠি মিছিল বের করে। ৯ দফা দাবিতে পাটকল শ্রমিক লীগ, সিবিএ, ননসিবিএ পরিষদের ডাকে এ মিছিলে অংশ নেয় শ্রমিকরা।

বিজ্ঞাপন

মিছিলে অংশ নেয় শিল্পাঞ্চলের ক্রিসেন্ট, প্লাটিনাম, খালিশপুর, দৌলতপুর, স্টার, আলিম ও ইস্টার্ন মিলের শ্রমিকরা। দুপুরে মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বক্তব্য দেন- শ্রমিক নেতা সরদার মোতাহার উদ্দিন, শ্রমিক নেতা সেলিম আকন, কাওসার আলী মৃধা, মুরাদ হোসেন, সোহরাব হোসেন প্রমুখ।

শ্রমিক নেতা সোহরাব হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, `সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ সহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য আমাদের এ আন্দোলন। মজুরি না পাওয়ায় আমাদের শ্রমিকদের না খেয়ে দিন পার করতে হচ্ছে। আমাদের দাবিগুলো এখনো বাস্তবায়ন না হওয়ায় আমরা রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। বার বার প্রতিশ্রুতি দিয়েও বিজেএমসি আমাদের দাবি মানছে না। রুটি রুজির জন্য আমাদের বারবার এ সংগ্রামে নামতে হচ্ছে।

শ্রমিকদের ৯ দফা দাবিগুলো হলো- নিয়মিত সাপ্তাহিক মজুরি ও বেতন প্রদান, সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরি ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পিএফ-গ্রাচ্যুইটি ও মৃত শ্রমিকদের বীমার বকেয়া প্রদান, টার্মিনেশন ও বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পুনর্বহাল, সেটআপ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাট কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মিলগুলোকে পর্যায়ক্রমে বিএমআরই করা।

গত শুক্রবার (২৯ মার্চ) মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন ও বকেয়া মজুরিসহ ৯ দফা দাবিতে ধর্মঘট ও মিছিলসহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে আরও রয়েছে, ২, ৩ ও ৪ এপ্রিল টানা ৭২ ঘণ্টা পাটকল ধর্মঘট এবং প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা করে রাজপথ ও রেলপথ অবরোধ।

এ সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে আগামী ৭ এপ্রিল ঢাকায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ নেতৃবৃন্দ যৌথ বৈঠকের মাধ্যমে পরবর্তী কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।