খুলনায় ব্ল্যাক আউটের আলোহীন এক মিনিট

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্ল্যাক আউটে দুই একটি গাড়ির হেডলাইট ছাড়া আর কিছুই জ্বলেনি, ছবি: বার্তা২৪

ব্ল্যাক আউটে দুই একটি গাড়ির হেডলাইট ছাড়া আর কিছুই জ্বলেনি, ছবি: বার্তা২৪

৭১-এর গণহত্যা দিবসের কাল রাতকে স্মরণ করে এক মিনিট প্রতীকী আলোহীন (ব্ল্যাক-আউট) কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাত ৯টায় শুরু হওয়া এ ব্ল্যাক আউট শেষ হয় ৯টা ১ মিনিটে। সারাদেশের ন্যায় এ সময় খুলনাও ছিল আলোহীন। লাল সবুজের বাতিতে সাজানো ঝলমলে সরকারি ভবনগুলোতে এ সময় নেমে আসে অন্ধকার।

বিজ্ঞাপন

রাস্তায় হঠাৎই যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। নগরীর প্রতিটি এলাকা ও মূল সড়ক থেকে শুরু করে পাড়া মহল্লা, এমনকি অলিগলির সব লাইটও বন্ধ হয়ে যায়। যে যার জায়গা থেকে নিজ বাসা এবং প্রতিষ্ঠানের সুইচ বন্ধ করে এ কর্মসূচির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেন।

তবে, পথচারীরা অভিযোগ করেন, প্রচারণার অভাবে ব্ল্যাক আউট ডে সম্পর্কে জানে না অনেকেই।

১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর গণহত্যার স্মরণে এটি করা হয়। জাতীয় সংসদের স্বীকৃতির পর একাত্তরের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর হত্যাযজ্ঞের দিনটিকে ২০১৭ সালে ‘গণহত্যা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে সরকার।

বাঙালির মুক্তির আন্দোলন নস্যাৎ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পাক সেনারা। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামের ওই অভিযানে কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা।

মধ্যযুগীয় কায়দায় পাকবাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা, ইপিআর সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো ঢাকা মহানগরীতে চালায় হত্যাযজ্ঞ ও অগ্নিসংযোগ।

উল্লেখ্য, এ ব্ল্যাক-আউটকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো ধরনের নাশকতা বা কোনো অপরাধমূলক কার্যক্রম না ঘটে সে জন্য নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় তৎপর ছিল খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। তবে হাসপাতাল ও ফায়ার সার্ভিসসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলো এ কর্মসূচির বাইরে ছিল।