রাজধানীর পুরান ঢাকার কোতওয়ালি থানায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করছে।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত ১২টার ৪৫ মিনিটে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতওয়ালি থানার ওসি মু. এনামুল হাসান।
তিনি মোবাইল ফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, দুর্গাপূজার বিসর্জন শেষে ট্রাকে করে ফিরছিলেন প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা লোকজন। ফেরার পথে ইসলামপুর পাটুয়াটুলির মোড়ে কোনো একটি ভবনের ছাঁদ থেকে ইট মারা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনাটি স্থানীয় এক ব্যবসায়ী সোমেন আমাকে ফোন করে জানায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমি ও আমার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঘটনাস্থলে যাই। ট্রাকে থাকা লোকজন অভিযোগ করে ভবনের ছাদ থেকে ইট মারা হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানাই। এরই মধ্যে কিছু লোক আমাদের ওপর হামলা করে। এতে আমি আহত হই। আরও কয়েকজন দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে ওসি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী কাজ করছে। আমি আহত হয়েছি চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যাচ্ছি।
কুষ্টিয়ায় ৪ কেজি গাঁজাসহ ইয়ারুল ইসলাম (৪৭) নামের এক মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
রোববার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় র্যাব-১২, সিপিসি-১ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
এদিন সকালের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইয়ারুল কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার শেহালা এলাকার মৃত খেদু মণ্ডলের ছেলে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, র্যাব-১২, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খানের নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল কুষ্টিয়ার শহরের চৌড়হাস এলাকায় একটি মাদক উদ্ধার অভিযানে ৪ কেজি গাঁজা (যার মূল্য আনুমানিক ১ লাখ বিশ হাজার টাকা), ১টি মোটরসাইকেল, ১টি মোবাইল এবং ১টি সিমসহ ইয়ারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
এ বিষয়ে মোহাম্মদ ইলিয়াস খান জানান, গ্রেফতার ইয়ারুলের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধার করা আলামতসহ আসামিকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
রংপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় শারদীয় দুর্গোৎসব। ঢাকের বাদ্য আর শঙ্খের উলুধ্বনিতে সিঁদুর খেলার মধ্য দিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে বিদায়ের সুরে নানা উপাচারে দেবীর অর্চনায়সহ বিসর্জন দেয়া হলো দেবীকে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শাস্ত্রমতে, অসূর বধ ও সকল অকল্যাণ দূর করে আজ দেবী ফিরে গেলেন কৈলাশে। বিদায় বেলা ভক্তদের জন্য রেখে যাচ্ছেন সুখ, সমৃদ্ধি ও আশীর্বাদ এমনটি বলছেন ভক্তরা।
রোববার ( ১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে রংপুর নগরীর মূল্টোল, ডিমলা,ঘাঘটসহ বিভিন্ন নদী, বিল ও পুকুরে ঢাকের বাজনায় হাজারো মুখোরিত ভক্তরদের উলুধ্বনিতে প্রতিমাকে বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। যেন বিসর্জনের মধ্য দিয়ে ভক্তরা পেয়েছেন নতুনকে আলিঙ্গন করার মঙ্গল বার্তা।
তবে রংপুর নগরীর মুলাটোল পুকুরে পানি না থাকায় প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে চিন্তিত ছিল সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখা থেকে গত বুধবার থেকে রবিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত পুকুরে শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি দেয়ার ফলে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় প্রতিমা বিসর্জন।
প্রতিমা বিসর্জন দিতে আসা বেশকয়েকজন ভক্ত বলেন, বিসর্জনের বাজনায় আবাহনের সুর মিশিয়ে আগামীর অপেক্ষায় মা দুর্গাকে বিদায় জানালাম। ‘আবার আসবে মা, দেখা হবে আগামী বছর। দেশ ও জাতির কল্যাণে মঙ্গলের বার্তা জানান দিয়ে গেলেন আশা করছি সকলের মঙ্গল হবে। সব অপশক্তি মায়ের আশীর্বাদে দূর হবে। আজকের দিনটি আনন্দের হলেও কষ্টেরও বটে মায়ের বিদায়ে খুব কষ্ট হচ্ছে তবে হাসি মুখে বিদায় জানাচ্ছি৷
এবারের পূজায় শান্তি শৃঙ্খলা নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী অনন্যা ঘোষ বলেন, এবার দেশের পরিস্থিতি এত ভয়াবহ খুব আতঙ্ক ছিলাম মায়ের পূজা নিয়ে৷ তবে পুলিশ, প্রশাসন,অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তায় শেষ পর্যন্ত খুব ভালো কেটেছে পূজা৷ আজকে মা দেশের ও মানুষের কল্যানে আশীর্বাদ দিয়ে চলে যাচ্ছেন। আবারও আগামী বছর এধরেনর নিরাপত্তায় মায়কে ফিরে পেতে চাই মণ্ডপে।
এবছর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে রংপুরে ৮৩৫ টি মণ্ডপে দুর্গা উৎসব পালন করা হয়। পুজামণ্ডপ সমূহে যে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়ানোর লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর টহল তৎপরতা জোরদারের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল পুলিশ,আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সুষ্ঠুভাবে প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন করতে উপজেলার প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ ও আনসার সদস্যরা।
এর আগে বিকেলে রংপুর নগরীর কালেক্টরেট সুরভী উদ্যানের পাশে আয়োজিত মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সায়ফুজ্জামান ফারুকী।
চাঁদপুরে হাজীগঞ্জ বাজারে নিষেধাজ্ঞার প্রথম দিনেই ইলিশ বিক্রির সময় ৩ মাছ বিক্রেতাকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সাথে ১৯৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়। তিন ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা করে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রাত ১০টায় হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বালুর মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন হাজীগঞ্জ উপজের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান ও হাজীগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া।
হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান জানান, ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও কেনা-বেচায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রথম দিনেই ইলিশ মাছ বিক্রয়ের সময় হাজীগঞ্জ বাজারের তিনজন ব্যবসায়ীকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং ১৯৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। যা উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়েছে।