চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথসহ চারজনের বিরুদ্ধে এইচএসসি পরীক্ষার ফল জালিয়াতির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বোর্ডের সচিব অধ্যাপক ড. এ কে এম সামছু উদ্দিন আজাদ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুস্তফা কামরুল আকতার, সাবেক সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট কিবরিয়া মাসুদ খান, এবং নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথকে। তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৬, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ৩৪ ধারা এবং পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধ) আইন, ১৯৮০ এর ৫, ৬, ১২ ও ১৩ ধারা অনুযায়ী প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা করে জালিয়াতির অভিযোগে বোর্ড কর্তৃপক্ষ মামলা করেছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে।
তবে মন্ত্রণালয়ের তদন্তে উঠে আসা অন্যান্য ব্যক্তিদের মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাদের মধ্যে রয়েছেন বোর্ডের দৈনিক শ্রমিক আবদুর রহমান, প্রোগ্রামার আবদুল মালেক, কম্পিউটার সেলের দৈনিক ভিত্তিক স্ক্যানার শিবলু ও নোমান, সহকারী প্রোগ্রামার আবুল হাসনাত এবং মো. রাজু। তাছাড়া পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা অধ্যাপক এ এম এম মুজিবুর রহমানের নামও মামলায় নেই, যদিও ১৯৬১ সালের পরীক্ষাবিধি অনুযায়ী পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় দায়দায়িত্ব পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের ওপর বর্তায়।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় শিক্ষা বোর্ডের তৎকালীন সচিব নারায়ণ চন্দ্র নাথের ছেলে নক্ষত্র দেবনাথ অংশ নেন। পরে তার জিপিএ-৫ পাওয়া নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। বিষয়টি তদন্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। তদন্তে ফল জালিয়াতির প্রমাণ মেলে এবং গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর নারায়ণ চন্দ্র নাথকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করে মন্ত্রণালয় থেকে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ছেলের ফলাফল বাতিলসহ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করার নির্দেশনা আসে।
গত বছরের ২৪ অক্টোবর নক্ষত্র দেবনাথের ফলাফল বাতিল করা হয়। তার আগে, বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন নারায়ণ চন্দ্র নাথ।