পুলিশ প্রতিবেদন

৪ আগস্টের পর ৪০ মাজারে ৪৪ বার হামলা: প্রেস উইং

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের তদন্তে জানা গেছে গত ৪ আগস্টের পর সারা দেশের ৪০টি মাজারে (মাজার/সুফি কবরস্থান, দরগা) ৪৪ বার হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলায় মাজার/দরগাহ এবং ভক্তদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, মাজারের সম্পত্তি লুটপাট ও মাজারে আগুন দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে।

সবচেয়ে বেশি সংখ্যক হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এখানে ১৭টি মাজারে ভাঙচুর, লুটপাট করা হয়। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগ ও ময়মনসিংহ বিভাগে যথাক্রমে ১০টি ও ৭টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর জেলায় একটি মাজারে চার বার হামলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ৪ আগস্টের পর সারা দেশের মাজারে হামলার বিষয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।

৪৪টি হামলার ঘটনার সবকটিতেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন থানায় সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার ভিত্তিতে বা পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ১৫টি নিয়মিত মামলা এবং ২৯টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। ফৌজদারি মামলায় মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুটি নিয়মিত মামলায় এরই মধ্যে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। আরও ১৩টি নিয়মিত মামলা ও ২৯টি সাধারণ ডায়েরির তদন্ত চলছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সারাদেশে মাজারের (মাজার, দরগাহ) নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সমস্ত সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থানীয়ভাবে বিবাদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে শান্তি বৈঠকের আয়োজন করে সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপও নেওয়া হয়েছে। কমিউনিটি পুলিশিং প্রচেষ্টার মাধ্যমে জনসাধারণ এবং ইসলামিক নেতাদের অংশগ্রহণ বজায় রেখে সংবেদনশীলকরণ কর্মসূচিতেও জোর দেওয়া হয়েছে।  

প্রেস উইং থেকে পাঠানো বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, যেকোনও সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের জন্য ইতিমধ্যে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছে সরকার। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের ধর্মীয় স্থাপনাগুলোর (মাজার ও দরগাহ) নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। সাম্প্রদায়িক সহিংসতার অভিযোগ নিতে পুলিশ ইতিমধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ করেছে। তারা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে।