শৈশবের বন্ধুদের কাছে পেয়ে আবেগাপ্লুত মির্জা ফখরুল

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে মির্জা ফখরুল, ছবি: সংগৃহীত

ঠাকুরগাঁওয়ে শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে মির্জা ফখরুল, ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন পর স্কুলের সহপাঠীদের কাছে পেয়ে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুরনো বন্ধুদের কাছে পেয়ে স্মরণ করিয়ে দেন ফেলে আসা দিনের কথা। শৈশবের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে যান। নিজেই বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করে শোনান বাল্য বন্ধুদের।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় হাওলাদার হিমাগার লিমিটেড প্রাঙ্গণে শৈশবের বন্ধুদের আয়োজিত মিলনমেলায় উপস্থিত হন।

বিজ্ঞাপন

তবে এসময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি।

মির্জা ফখরুল শৈশবের বন্ধুদের স্মৃতির কথা বলতে গিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া বন্ধুদের স্মরণ করে বলেন, আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু কুদ্দুস আমাদের মাঝে থেকে অনেক আগেই চলে গেছে। মনোয়ার চলে গেছে, যার সঙ্গে সারাদিনে একবার দেখা না হলে খারাপ লাগতো। অনেকেই আমাদের কাছ থেকে চলে গেছে। যারা এখনো বেঁচে আছি, আমরা একটু বাঁচার মতো বাঁচতে চাই। এই বাঁচাটা হচ্ছে নিজেকে অনুভব করা আমি আছি, আমি বেঁচে আছি।

বিজ্ঞাপন

এসময় তিনি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান সালাম, মোসাদ্দের, লতিফ, ডাক্তার কবিরকে। এতো সুন্দর অনুষ্ঠানের আয়োজন করার জন্য। আমরা যারা বেশির ভাগ ঘর থেকে বের হয় না যেমন হুমায়ন স্যার, রবি দা উনারা ঘর থেকে বের হন না। তাদের আমরা আজ আবার ঘর থেকে বের করে নিয়ে এসে একসঙ্গে করার সুযোগ করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ। আজ সকালে বন্ধু আনিসুরকে দেখতে গিয়েছিলাম। একেবারেই শয্যাশায়ী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে। জানি না আমরা কে কখন চলে যাবো। কিন্তু যাওয়ার আগে আজকের দিনটা আমাদের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মহাসচিব আরও বলেন, যখন স্কুলে পড়ি খুবই দুষ্টু ছিলাম। এবং বখরান সাহেব ছিলেন আমাদের ক্যাপ্টেন। আমরা দুষ্টুমি করতাম আর ক্যাপ্টেন আমাদের নামে হেড স্যার রোস্তম আলীকে নালিশ করলেন। তাঁর কিছুদিন পর হেড স্যার আমাদের সবাইকে ডেকে পাঠালেন। ঘরের ভিতরে লাইন করে দাঁড় করালেন এবং সবাইকে একটা করে ব্যাট দিলেন। আমাদের সেই শৈশব ও স্কুলের জীবন আমি কখনই ভুলতে পারি না। আমার সবসময় মনে পড়ে, সেই দিনগুলো যদি ফিরে পেতাম।

স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার পরে বন্ধুদের সঙ্গে রংপুরে এক কাজে গিয়েছিলাম। রাতের বেলা কি করব তাই ঠিক করলাম সিনেমা দেখবো। কিন্তু সিনেমা দেখার জন্য তখন আমাদের হাতে টিকিট ছিলো না। তাঁর পরেও ভিড় ডিঙ্গিয়ে টিকিটের ব্যবস্থা করে সিনেমা দেখেছি। এগুলো আমার কাছে এখনো মধুর স্মৃতি হয়ে আছে।

এসময় কবিতা আবৃত্তির অনুরোধ করা হলে তিনি বলেন, একসময় আবৃত্তি করতাম এখন করি না বক্তৃতা করি। তার পরেও আমি চেষ্টা করব কবিতা আবৃত্তি করার। কারণ একসময় আমিও নাটক করেছি, রঙ মেখেছি, একসময় নাট্যগোষ্ঠী করতাম। পরে তিনি তাঁর প্রিয় কবিতা বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ আবৃত্তি করে শোনান বন্ধুদের।