আমরণ অনশনের ঘোষণা অব্যাহতি পাওয়া এসআইদের
চাকরিতে পুনর্বহাল না হওয়া পর্যন্ত সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশের ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিস উপ-পরিদর্শকরা (এসআই)।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে ৪০তম (ক্যাডেট) সাব-ইন্সপেক্টর ২০২৩ ব্যাচ এর অব্যাহতি প্রাপ্তদের চাকরিতে পুর্নবহালের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দাবি আদায় না হওয়ায় এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অনশনের ঘোষণা দেন।
অব্যাহতি প্রাপ্ত ক্যাডেট আলমগীর হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ৪০তম ক্যাডেট সাব-ইন্সপেক্টর ব্যাচের চলমান ট্রেনিং থেকে অন্যায়ভাবে অব্যাহতি প্রদানের প্রতিবাদ ও চাকরিতে পুনবহালের দাবিতে আমরা ৩২১ জন সাব-ইন্সপেক্টর গত ৫ ও ৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করি। আমাদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে স্বরাষ্ট্র সচিব মহোদয় দেখা করে আমাদের দাবির বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। এখন পর্যন্ত আমাদের বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখতে না পাওয়ায় আমরা সবাই (৩২১ জন) আজ (১৩ জানুয়ারি) সকাল থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি।
তিনি বলেন, সকাল থেকে অপেক্ষা করেও এখন পর্যন্ত যথাযথ কর্তৃপক্ষের কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস না পাওয়ায় আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে চাকরিতে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত আজ (১৩ জানুয়ারি) এখন থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা সচিবালয়ের সামনেই অবস্থান করব।
এর আগে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা বলেন, বিগত ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর আমরা ট্রেনিংয়ে অংশ নেই। ট্রেনিং সম্পন্ন হওয়ার পর আমাদেরকে নানান কারণ দেখিয়ে চাকরিতে নিয়োগ না দিয়ে চারটি ধাপে মোট ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তাই আমরা ৪০তম ব্যাচের অব্যাহতি পাওয়া শিক্ষানবিস উপ-পরিদর্শকরা (এসআই) আমাদের চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে অবস্থান নিয়েছি।
অব্যাহতি প্রাপ্ত ক্যাডেট সাজিদুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন ছোট ছোট কারণে আমাদের ট্রেনিং সম্পন্ন করে পোস্টিং দেয়ার পরিবর্তে মোট ৩২১ জনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আমাদের নাস্তা না খাওয়ার কারণ দেখিয়ে ২০৩ জনকে বাদ দেয়া হয়। মাঠে কমান্ড না শুনে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ দেখিয়ে ৪৯ জন, ক্লাসে অমনোযোগী থাকার কারণ দেখিয়ে ৫৮ জনকে বাদ দেয়া হয়। ক্লাসে মার্চিং না করে যাওয়ার জন্য ৩ জন এবং সর্বশেষ মাঠে হইচই করার জন্য ৮ জনকে বাদ দেয়া হয়। তাই আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই অবিলম্বে আমাদের চাকরিতে পুনর্বহালের অনুরোধ করছি।
আন্দোলনকারী অনামিকা সাহা বলেন, আমরা এক বছর অনেক ত্যাগ স্বীকার করে প্রায় বিনা বেতনে ট্রেনিং করেছি। যখন চাকরিতে নিয়মিত হওয়ার কথা, তখনই আমাদের বাদ দেওয়া হলো। এখন আমরা চাকরি ফিরে পাওয়ার আশায় রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছি।