স্কুল কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ: বিএনপি ও জামায়াতের ২০ কর্মী আহত

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার মিরপুরে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুরাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের বুড়াপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটি গঠন নিয়ে কয়েক দিন ধরেই ইউনিয়ন জামায়াতের আমির নাসিম রেজা মুকুল ও স্থানীয় বিএনপি কর্মী রাশেদ মাহমুদ নাসিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। তারা দুজনেই কমিটির আহ্বায়ক প্রার্থী ছিলেন। অ্যাডহক কমিটি থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিতে জামায়াতের আমির মুকুলকে চাপ সৃষ্টি করছিলেন বিএনপি কর্মী নাসির। এ নিয়ে শনিবার রাতে মুকুলকে হুমকি দেন নাসির।

এরই প্রতিবাদে রোববার বিকাল ৩টার দিকে বুরাপাড়া স্কুল মাঠে এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। প্রতিবাদ সভায় কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুল গফুর উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

এ সময় বিএনপি কর্মী-সমর্থকরা সেখানে গেলে দুপক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও উত্তেজনা শুরু হয়। একপর্যায়ে বিএনপির কর্মীরা জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের উদ্ধার করে ৮ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সুজাউদ্দিন জোয়ার্দ্দার বলেন, বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটিতে জামায়াতের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন জামায়াতের আমিরের নাম দেওয়া হয়েছিল। অথচ বিএনপি নেতা নাসির তাকে নাম তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছিল। এরই প্রতিবাদে সমাবেশ করার সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালান। হামলায় আমাদের অনেকে আহত হয়েছেন।

মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব রহমত আলী রব্বান বলেন, নাসির এক সময় ছাত্রদল নেতা ছিলেন। এখন তিনি বিএনপির কর্মী। তবে ঘটনাটি যেহেতু স্থানীয় দুপক্ষের তাই এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. হাসান ইমাম বলেন, হাসপাতালে যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এদের মধ্যে একজন বৃদ্ধ গুরুতর। প্রত্যেকের মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মিরপুর থানার ওসি মমিনুল ইসলাম জানান, একটি স্কুল ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।