ফসলি জমির মাটি বিক্রি হচ্ছে ইটভাটায়, কমছে আবাদী জমি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার বিভিন্ন মাঠে ফসলি জমির মাটি কেটে তা বিক্রি হচ্ছে ইটভাটাসহ বিভিন্ন স্থানে। ফলে প্রভাব পড়ছে ফসল উৎপাদনে। কমে যাচ্ছে কৃষি আবাদী জমি। এরমধ্যে ফসলি জমির মাটি কেটে তা বিক্রির জন্য বহন করা একটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
সম্প্রতি দৌলতদিয়া আক্কাস আলী হাই স্কুলের পেছন থেকে মাটিবাহী ড্রাম ট্রাকটি আটক এবং চর কর্ণেশন ও নতুন ব্রিজ এলাকায় পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু তোলার অপরাধে দুটি মেশিনের পাইন ভেঙ্গে ধ্বংস করে প্রশাসন।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিনের পরিবর্তে সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত চলছে মাটি কাটার উৎসব। স্থানীয় প্রশাসন জেল জরিমানা, মাটি ভর্তি ট্রাক ও ভেকু জব্দ করেও মাটি কাটা থামাতে পারছে না। মাটি কাটার সাথে প্রভাবশালী একটি চক্রের হাত থাকায় প্রশাসনের অভিযানেও তেমন একটা সুফল আসছেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ কাজগুলোর পেছনে প্রভাবশালীদের হাত রয়েছে। বছরের পর বছর এ ধ্বংসলীলা চলার কারণে বিপন্ন হচ্ছে পরিবেশ। নষ্ট হচ্ছে জীব বৈচিত্র,, কমে যাচ্ছে কৃষি আবাদী জমি। অপরদিকে গ্রামীণ সড়কে মাটি ভর্তি ভারী যান চলাচলের ফলে ভেঙ্গে যাচ্ছে সড়ক। দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে কৃষি জমি থেকে মাটি উত্তোলন প্রতিরোধ এবং সড়কে জানমালের নিরাপত্তা ও সড়কের ক্ষতিরোধ নিশ্চিত করতে অভিযান চলমান থাকবে। এরমধ্যে বুধবার (৮ জানুয়ারি) ১টি মাটিবাহী ড্রাম ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। এ সময় চালকেরা ট্রাকগুলো ফেলে কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে ট্রাকগুলো উপজেলা কোয়ার্টারের পাশে রাখা হয়েছে। জব্দকৃত ট্রাক গুলোর মালিকেরা আসলে তাদের বালু, মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে মোটা অংকের টাকা জরিমানা আদায় করা হবে এবং তাদেরকে সতর্ক করে দেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দিনে বা রাতে কোন প্রকার মাটি বা বালু কেটে বিক্রি করা যাবে না। উপজেলা প্রশাসন এ বিষয়ে সব সময় কড়া নজরদারি রেখেছে। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।