নদীর মাটি কেটে নদীতীর ধ্বংস এবং পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে কোটি কোটি টাকার অবৈধ বাণিজ্য করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চালানো এক সাঁড়াশি অভিযানে ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক)।
মঙ্গলবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) গোমতী, নাগর এবং কালিগঞ্জ নদী সংশ্লিষ্ট এলাকায় এ অভিযান চালানো হয় বলে জানায় দুদক।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কুমিল্লা-এর উপ-পরিচালক মোঃ হেলাল উদ্দিন শরীফের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ কুমিল্লার দেবিদ্বারে গোমতী নদীর তীরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রতিরোধে অভিযান চালায়। অভিযানে ০৫ জনকে গ্রেপ্তার করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসময় ২টি ট্রাক্টর ও ২টি ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে ফেলা হয়।
অন্যদিকে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার ত্রিবেনী ও দিগনগর ইউনিয়নে দুদক, যশোর এর উপপরিচালক মোঃ নাজমুচ্ছায়াদাত এর নেতৃত্বে দুদক টিম অভিযান চালায়। এ অভিযানে কালিগঞ্জ নদীতে বালু উত্তোলনকালে ১ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
অপরদিকে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার নাগর নদের তলা খুঁড়ে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের বিরুদ্ধে উপপরিচালক মোঃ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে দুদক টিম স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের সহযোগে সাঁড়াশি অভিযান চালায়।
এসময় তাৎক্ষণিক ৪ জন ম্যানেজারকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড এবং মোট ৮ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বিপুল পরিমাণ ড্রেজার মেশিন ও পাইপ ধ্বংস করা হয়।
এছাড়াও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে মামলা করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটের প্রধান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, পরিবেশ বিধ্বংসী অপরাধ থেকে যারা অবৈধ অর্থ উপার্জন করছে, তাদের সম্পদের হিসাব বের করে দুদক শীঘ্রই আইনী ব্যবস্থা নেবে। পরিবেশ, প্রতিবেশ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সুরক্ষায় এ অভিযান আরো চলবে।