‘সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থার মাধ্যমে নগরীকে আরও উন্নত করা সম্ভব’
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ বলেছেন, রাজশাহীর মতো একটি শান্তিপূর্ণ ও সবুজ নগরীকে সুশৃঙ্খল ট্রাফিক ব্যবস্থার মাধ্যমে আরও উন্নত করা সম্ভব। আরএমপির এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এর সফল বাস্তবায়নের জন্য নগরবাসীর সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে আরএমপি'র উদ্যোগে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এস. এম. তুহিনুর আলম এবং আরএমপি পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
পুলিশ কমিশনার বলেন, আমি রাজশাহীতে পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদানের পর থেকেই নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, নগরবাসীর কাছে পুলিশি সেবা আরও সহজে পৌঁছে দিতে আরএমপিতে তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু করা হয়। যানজট নিরসন ও দুর্ঘটনা প্রতিরোধে চালক এবং যানবাহনের মালিকদের নিয়ে সচেতনতামূলক কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর ব্যস্ততম এলাকাগুলোর একটি সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট। এই এলাকায় ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা উন্নত করতে রাজশাহীর সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম ও স্থানীয় মার্কেট প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এই উদ্যোগের সুফল নগরবাসী পেতে করতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মাদক, ইভটিজিং, সাইবার অপরাধ, ট্রাফিক আইন এবং কিশোর অপরাধ সম্পর্কে সচেতন করতে স্কুল ভিজিটিং কর্মসূচি চালু করা হয় যা স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করে একটি নিরাপদ ও সুন্দর সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় আরএমপি ও রাজশাহী জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, গণ্যমান্য ব্যক্তি, ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর প্রতিনিধি, সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাস স্ট্যান্ড নওদাপাড়ায় স্থানান্তর, ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) স্থাপন, সাহেব বাজারে রোড ডিভাইডার সম্পন্ন করা, হকারদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা নির্ধারণ, কালার ভেদে অটোরিক্সা চলাচল, অটোর সংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ও রিপ্লেসমেন্ট অটো না দেয়া, অটো ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণ, অটো স্ট্যান্ড নির্দিষ্টকরণ, ডাম্পিং এর স্থান নির্ধারণ ও নগরীতে ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু করা সংক্রান্ত আলোচনা হয়।