নারায়নগঞ্জের মিরেরটেক এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ অভিযানে সঙ্ঘবদ্ধ চক্রের অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুর্বৃত্তদের অতর্কিত হামলায় আঞ্চলিক বিপণন বিভাগের (সোনারগাঁও) উপমহাব্যবস্থাপক প্রকৌ. মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীন গুরুতর আহতসহ আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটেছে। সোনরাগাঁও অফিসের একজন কর্মচারী, বিচ্ছিন্নকারী টিমের ২জন শ্রমিক ও কয়েকজন পুলিশ আহত হয়েছে বলে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি জানিয়েছে।
তিতাস গ্যাস জানিয়েছে, মৈষটেক এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এতে আনুমানিক ২০০টি বাড়ির প্রায় ২০০টি আবাসিক চুলা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া এই অভিযানে প্রায় ১০০ ফিট এমএস ও ১৫০ ফিট পিভিসি পাইপ উচ্ছেদ করা হয়েছে। মৈষটেক এলাকায় অভিযান শেষে মিরেরটেক বাজার সংলগ্ন ২" ইঞ্চি ডায়া বিশিষ্ট অবৈধ লাইনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র অতর্কিতভাবে হামলা করে।
নিয়মিত অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফজলে ওয়াহিদের নেতৃত্বে মৈষটেক এবং মিরেরটেক, সোনারগাঁও, নারায়নগঞ্জ এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। তিতাস গ্যাসে ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে শাহনেওয়াজ পারভেজ যোগদানের পর থেকে অবৈধ উচ্ছেদ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করছে। প্রত্যেক দিনেই বিভিন্ন এলাকায় অভিয়ান অব্যাহত রয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ১৪৫টি শিল্প, ৮৬টি বাণিজ্যিক ও ১৬ হাজার ৫৯৬টি আবাসিকসহ মোট ১৬ হাজার ৮২৭টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ ও ৪০ হাজার ৯১৬টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ওইসব অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে দৈনিক ১ কোটি ১১ লাখ ১৩ হাজার ২৫৩ ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৫১.৬৫ লক্ষ টাকা। এছাড়া, উক্ত অভিযানে ৮৬ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে বলে তিতাস গ্যাস জানিয়েছে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। যতো বাঁধাই আসুক অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান বন্ধ হবে না। আরও জোরদার করা হবে। ওই এলাকায় আবারো বাড়তি ফোর্স নিয়ে অভিয়ান পরিচালনা করা হবে।