কৃষকের ২ টাকার ফুলকপি বাজারে ৩০ টাকা
পটুয়াখালীর বাজারে ফুলকপির দামে বড় ধরনের বৈষম্য দেখা দিয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ২-৩ টাকায় বিক্রি হওয়া ফুলকপি শহরের বাজারে এসে বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকায়। এই দামের পার্থক্যে কৃষক, ক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতারা সবাই ক্ষুব্ধ।
উৎপাদনকারী কৃষকদের অভিযোগ, তারা তাদের পরিশ্রমের যথাযথ মূল্য পাচ্ছেন না। কলাপাড়ার কৃষক আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা মাত্র ২-৩ টাকায় ফুলকপি বিক্রি করি, অথচ বাজারে এর দাম ২৫-৩০ টাকা। এতে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে।’
অন্যদিকে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজার থেকে ১৫-১৮ টাকায় ফুলকপি কিনতে হয়। নিউ মার্কেটের বিক্রেতা সোহেল মিয়া বলেন, ‘পরিবহন খরচসহ আমরা ২৫-৩০ টাকায় ফুলকপি বিক্রি করি। লাভ খুব সীমিত।’
মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা এই সমস্যা আরও জটিল করে তুলছে। বাজার পর্যবেক্ষকদের মতে, তারা নামমাত্র মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কিনে শহরের বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে।
বাজার মনিটরিং টাস্কফোর্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য বন্ধের চেষ্টা চলছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন, ‘মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি বন্ধে আমরা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেব।’
এদিকে শহরের ক্রেতারা এই অস্বাভাবিক দামে ক্ষুব্ধ। গৃহিণী রাশেদা বেগম বলেন, ‘আগে ১০-১২ টাকায় ফুলকপি কিনতে পারতাম। এখন ২৫-৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে, যা আমাদের জন্য খুব কষ্টকর।’
কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে সবজি কেনার ব্যবস্থা এবং পরিবহন খরচ কমাতে বিশেষ উদ্যোগ প্রয়োজন। এই পদক্ষেপ না নিলে বাজার ব্যবস্থায় সংকট আরও বাড়তে পারে।