নিখোঁজের ৫দিন পর নদী থেকে কিশোরের মরদেহ উদ্ধার, আটক ৩
জামালপুরের মেলান্দহে নিখোঁজের ৫দিন পর শাওন (১৪) নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) উপজেলার চরগোবিন্দী বাংলাবাজারের পাশে কেকরা নদী থেকে নিহত শাওনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শাওন ওই এলাকার গোলাম মোস্তফার ছেলে। এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, মাহমুদপুর ইউনিয়নের আজিজপুর এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ (১৭), মাদারগঞ্জ উপজেলার ধলিরবন্দ এলাকার আলিমুদ্দিন প্রামানিকের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২১) ও একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে সুমন আকন্দ (২২)।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) সন্ধ্যায় শাওন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে না পেয়ে নিহত শাওনের বাবা গোলাম মোস্তফা মেলান্দহ থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন।
তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিহত শাওনের মোবাইলসহ ওই গ্রামের পাশের আজিজপুর এলাকার জাহিদুল ইসলামের ছেলে বিদ্যুৎ মিয়াকে (১৭) আটক করে পুলিশ। পরে চরগোবিন্দী বাংলাবাজারের পাশে কাকরনদীর পানার নিচ থেকে নিহত শাওনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অভিযান চালিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলার ইসমাইল ও সুমন আকন্দকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
চরগোবিন্দী এলাকার লিখন বাবু জানান, ওই এলাকায় একটি স্লুইচ গেটের কাজ চলছে। প্রায় একমাস আগে সেখানে রাজমিস্ত্রীর কাজ করতে আসা বিদ্যুৎ, ইসমাইল ও সুমনের সাথে স্থানীয় একটি মেয়েকে উত্যক্ত করা নিয়ে নিহত শাওনের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টি স্থানীয়রা বসে মীমাংসা করে দেন। আমরা মনে করছি তারাই শাওনকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি হত্যা। এঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য নিহত মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।