১০ কনটেইনার কমলা ও পেঁয়াজ ধ্বংস করলো কাস্টমস
চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়া আরও ১০ কনটেইনার ছোট কমলা ও পেঁয়াজ ধ্বংস করেছে কাস্টম হাউস।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দিনব্যাপী নগরীর হালিশহরস্থ আনন্দবাজার ডাম্পিং ইয়ার্ডে এ পণ্য ধ্বংস করা হয়। এর আগে গতকাল প্রথম দিন ৪টি কনটেইনারে থাকা ৫৩ টন ৪৯০ কেজি আদা ও ২৩ টন ৪৬২ কেজি কমলা যথাযথ প্রক্রিয়ায় ধ্বংস করা হয়।
কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে খাওয়ার অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকা বিদেশ থেকে আনা ২১ কনটেইনার পণ্য ধ্বংস করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) প্রথম দিনে ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৭ টাকা ৪৬ পয়সা মূল্যমানের একটি ৪০ ফুটের কমলা ও ৪০ ফুটের তিনটি আদার কনটেইনার ধ্বংস করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দ্বিতীয়দিনে মোট পাঁচটি চালানের ১০টি ৪০ ফুটের কনটেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংস করা হয়। এরমধ্যে ছিল ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ১০০ টাকার ২ লাখ ৫১ হাজার ১০৭ কেজি ছোট কমলা এবং ২ লাখ ৫১ হাজার ১০৭ টাকার ২৫ হাজার ২০০ কেজি পেঁয়াজ। পণ্য বোঝাই দশটি কনটেইনারই চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা এনেছিল। পেঁয়াজের কনটেইনারটি চাকতাইয়ের আবুল বশর এন্ড সন্স এবং জান্নাত এন্টারপ্রাইজের একটি ও সিদ্দিক এন্ড সন্সের ৮টি কনটেইনার ছোট কমলা এনে তা খালাস না করায় পণ্যগুলো দীর্ঘদিন ধরে বন্দরে পড়ে ছিল।
বুধবার (২০ নভেম্বর) কমলা ও ড্রাগন ধ্বংস করে ৪০ ফুটের ৭টি কনটেইনার খালি করা হবে। এরমধ্যে চট্টগ্রামের খাদজা এন্টারপ্রাইজের আনা ছোট কমলার ১টি, কক্সবাজারের নিউ বারা বাজারে আনা মিশরীয় কমলার ১টি, ঢাকার ফ্রুটস এন্ড ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের আনা ড্রাগনের ১টি এবং এইচ এন্ড এস এন্টারপ্রাইজের মিশরীয় কমলার ৩টি ও কমলার ১টি কনটেইনার ধ্বংস করা হবে বলে জানা যায়।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দরে নৌ পরিবহন উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বন্দর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে তারা বন্দরে পড়ে থাকা বিভিন্ন কনটেইনার খালি করার বিষয়ে গুরত্ব দেন। সেই অনুযায়ী ৩০ জন কর্মকর্তার একটি দল বিশেষভাবে নিলাম শাখা ও বন্দরে পড়ে থাকা কনটেইনারগুলো মূল্যায়নে কাজ করেন। এরমধ্যে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ২১টি কনটেইনার ধ্বংস করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার সাইদুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রাম বন্দর থাকা ২১টি নিলাম অযোগ্য কনটেইনারের বিভিন্ন পণ্য ধ্বংসের বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ধ্বংস বিষয়ক কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর প্রেক্ষিতে গতকাল সোমবার ধ্বংস বিষয়ক কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে এসব কনটেইনারের পণ্য ধ্বংসের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রথম দিনে ৯৮ লাখ ৪৯ হাজার ৩৭৭ টাকা ৪৬ পয়সা মূল্যমানের একটি ৪০ ফুটের কমলা ও ৪০ ফুটের তিনটি আদার কনটেইনার ধ্বংস করা হয়েছে।
তিনি জানান, দ্বিতীয়দিনে মোট পাঁচটি চালানের ১০টি ৪০ ফুটের কনটেইনার পচনশীল পণ্য ধ্বংস করা হয়। এরমধ্যে ছিল ৭ কোটি ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ১০০ টাকার ২ লাখ ৫১ হাজার ১০৭ কেজি ছোট কমলা এবং ২ লাখ ৫১ হাজার ১০৭ টাকার ২৫ হাজার ২০০ কেজি পেঁয়াজ। বুধবার (২০ নভেম্বর) কমলা ও ড্রাগন ধ্বংস করে ৪০ ফুটের ৭টি কনটেইনার ধ্বংস করা হয়।