পটুয়াখালীতে বিশেষ কৌশলে ওজনে প্রতারণা, বিপাকে ক্রেতারা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম পটুয়াখালী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

পটুয়াখালী পৌর নিউ মার্কেটের মুরগী বাজারে বিশেষ কৌশলে ওজনে কারচুপির ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। এতে ক্রেতারা পণ্য কিনে ওজনে ঠকছেন, যা বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে সরেজমিনে নিউ মার্কেটের মুরগী ব্যবসায়ী তুহিনের দোকানে দেখা যায়, তার ডিজিটাল ওজন যন্ত্রে একটি গুনা বাঁধা আছে। এ গুনাটি নিচে টেনে ধরলেই মিটারের স্কেলে অতিরিক্ত ওজন প্রদর্শিত হয়। ক্রেতারা অভিযোগ করেন, এই কৌশলে প্রতি কেজিতে ১০০-২০০ গ্রাম কম পণ্য দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এতে করে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

ক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত বাজার মনিটরিংয়ে আসেন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া। তিনি বলেন, তুহিনের মুরগীর দোকানে ডিজিটাল ওজন যন্ত্রে প্রতারণার প্রমাণ পেয়েছি। এ কারণে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রতারণা বন্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিজ্ঞাপন

তুহিনের বড় ভাই অপু বলেন, আমাদের তিনটি দোকান আছে, যেগুলো একসঙ্গে পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। মোহসীন নামে এক কর্মচারী এই দোকানটি দেখাশোনা করতেন। তার ওজনে কারচুপির বিষয়ে আমরা জানতাম না।

বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা জানান, তুহিনের দোকানটি সবসময় বাজার দামের থেকে ১০-২০ টাকা কমে মুরগী বিক্রি করত, তবে প্রতি কেজিতে ১০০-২০০ গ্রাম কম দিয়ে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নিত।

বাজারের অন্য মুরগী ব্যবসায়ী মো. মামুন বলেন, তাদের কারণে আমাদের ব্যবসায় ক্ষতি হচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসন এর কঠোর ব্যবস্থা নিক।

স্থানীয়রা দাবি করেছেন, প্রতিটি দোকানে ডিজিটাল ওজন যন্ত্র ক্রেতাদের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে। এছাড়া প্রশাসনের নিয়মিত বাজার মনিটরিং ও কঠোর নজরদারি চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া বলেন, বাজার মনিটরিং আরও কঠোর করা হবে। কোনো ধরনের প্রতারণার ঘটনা পাওয়া গেলে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।