সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ও জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণের দাবি

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ও জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণের দাবি

সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ও জন-আকাঙ্ক্ষা পূরণের দাবি

সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সুসংহত করতে জন-আকাঙ্ক্ষাভিত্তিক সুপারিশ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাজশাহী জেলা কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সুজনের রাজশাহী জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল আলম মাসুদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির জেলা কমিটির সভাপতি সফিউদ্দীন আহমেদ।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বর্তমানে চরম সংকটে। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে এই ব্যবস্থার সংস্কার অত্যন্ত জরুরি। সুজন মনে করে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল করে নতুন আইন প্রণয়ন প্রয়োজন, যেখানে অনুসন্ধান কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত থাকবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করে সৎ, যোগ্য, নিরপেক্ষ এবং সাহসী ব্যক্তিদের স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দিতে হবে।

সুজন আরও দাবি করে, নির্বাচন কমিশনের আওতায় জনবল নিয়োগের ক্ষমতা কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা এবং জাতীয় নির্বাচনে সুষ্ঠুতা নিশ্চিত করতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন অপরিহার্য। সংবিধান সংস্কার কমিটিকে আহ্বান জানানো হয়, এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন পদ্ধতি প্রবর্তনের জন্য।

বিজ্ঞাপন

এছাড়াও উচ্চকক্ষের জন্য নির্বাচন পদ্ধতি নির্ধারণ করে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট প্রতিষ্ঠা এবং উচ্চকক্ষকে পেশাভিত্তিক করার প্রস্তাব করা হয়। প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ দুইবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার দাবি জানিয়ে তারা রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য আনতে সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংস্কারের প্রস্তাব তুলে ধরেন।

সংবিধানকে প্রকৃত অর্থে অসাম্প্রদায়িক করার পাশাপাশি জনপ্রশাসন এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনকে দলীয়করণমুক্ত করে মেধাভিত্তিক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়। বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়ন এবং যোগ্য ও নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিচার বিভাগের আওতায় পৃথক সচিবালয় প্রতিষ্ঠা এবং বিচার বিভাগকে ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবমুক্ত রাখতে হবে। এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন হলে দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি শক্তিশালী হবে এবং সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।