বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ছিল। তারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে। তাই এদেশে ফ্যাসিবাদের রাজনীতি করার কোন অধিকার নেই। তারা এখন বিএনপির সাথে একাত্ম হয়ে গণতন্ত্র উদ্ধার করতে চায়। এটি সম্ভব নয়। কারণ আওয়ামী লীগের সাথে গণতন্ত্র মানায় না। তারা অতীতেও বাকশাল কায়েম করে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিলো।
তিনি বলেন, যারা গণহত্যার সাথে জড়িত ছিলো, তারা পালিয়ে গেলেও তাদেরকে দেশে এনে গণহত্যার বিচার করা হবে। গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ পরস্পর বিরোধী শব্দ। তারা দেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে কি না তা জনগণই নির্ধারণ করবে। দেশে এখন আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্র চলছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আগে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি আয়োজিত র্যালি পূর্ব সিলেট রেজিস্ট্রারী মাঠে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সাবেক এই মন্ত্রী আরও বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সম্মূখ সমরে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালে দেশ ও জাতীর প্রয়োজনে আবারো দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। জুলাই ও আগস্ট গণবিপ্লবে আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান নেতৃত্ব না দিলে হয়তো আমরা এই স্বাধীনতা পেতাম না। তাই বাংলাদেশ, শহীদ জিয়া, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান একই সূত্রে গাথা। আমরা কারো করদরাজ্য পরিণত হওয়ার জন্য স্বাধীনতা লাভ করিনি। অরক্ষিত স্বাধীনতা পরাধীনতার সমান।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী এবং মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী যৌথ পরিচালনায় শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ও আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ড.এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-ক্ষুদ্র ঋণ ও কুটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, এডভোকেট হাদীয় চৌধুরী মুন্নি, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও ড্যাব সিলেট জেলার সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, সিলেট জেলা বারের পিপি এডভোকেট আশিক উদ্দিন।
সমাবেশ শেষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে দলটির কয়েক হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। বিপ্লব ও সংহতি দিবসের র্যালিতে যোগদান করতে দুপুর থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে রেজিস্ট্রারী মাঠে জড়ো হতে থাকেন।