১৪ কেজির এক পোয়া ১০ হাজার টাকায় বিক্রি
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় ইলিয়াস মাঝি নামের এক জেলের জালে মিললো ১৪ কেজি ওজনের সামুদ্রিক লম্বু পোয়া। যা নিলামে প্রায় ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাত ৮টায় বঙ্গোপসাগরের গভীরে মাছ ধরতে গিয়ে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এ মাছটি আটকা।
মাছটি পাওয়া জেলে ইলিয়াস মাঝি কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার বাসিন্দা।
তিনি মূলত ছোট্ট ট্রলার নিয়ে লাক্কা-কোড়াল মাছ শিকার করে থাকেন। তার কোড়ালের জালে মাছ পাওয়ার পর কুয়াকাটা মেয়র বাজার মেসার্স সাথী ফিসের আড়তে উঠালে নিলামে আল-আমিন নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী ৭৫০ টাকা কেজি ধরে ১০ হাজার ৫০০ টাকায় মাছটি কিনে নেন।
জেলে মো. ইলিয়াস মাঝি বলেন, ২২ দিনের অবরোধে একদম বেকার ছিলাম। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আমরা সমুদ্রে মাছ ধরতে গেলে লাক্কা মাছের পাশাপাশি এই মাছটি আমি পাই। এত বড় মাছ সচারাচর পাওয়া যায় না। মাছটি পেয়ে আমি খুবই খুশি।
মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আল-আমিন বলেন, পোয়া মাছটি ভাল দামে বিক্রির জন্য ডাকের মাধ্যমে কিনেছি। আসা করি এখানেই মাছটি বিক্রি হবে। প্রত্যাশিত দাম না পেলে ঢাকায় পাঠিয়ে দিব। যাতে ভালো দামে বিক্রি করতে পারি।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মাছটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘অটোলিথইডিস বিয়ারিটাস’ (Otolithoides biauritus)। স্থানীয়ভাবে মাছটি লম্বু পোয়া বা সোনালি পোয়া নামে পরিচিত। এটি সাধারত ৪ থেকে ৪০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। গভীর সমুদ্রে বড় জালের মাধ্যমে এই মাছ ধরা হয়। বছরে দুইবার সমুদ্রে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকে। যে কারনে ইলিশের পাশাপাশি এখন পাঙ্গাশ, পোয়া, কোড়ালসহ সামুদ্রিক অনেক মাছের প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এতে জেলেরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি তাদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।