আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষকে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা: মান্না
শেখ হাসিনা জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে নির্বিচারে মানুষকে গুলির নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেন নাগরিক ঐক্যে'র সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
শনিবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বগুড়া শহরের সাতমাথা মুক্ত মঞ্চে নাগরিক ঐক্য জেলা শাখার আয়োজনে গণ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
এসময় মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ৩ আগষ্ট তিনি সেনাপ্রধানকে এই নির্দেশ দেন ও বিমান বাহিনী প্রধানকে বলেছিলেন যত হেলিকপ্টার লাগে নামাও ভয় দেখাও। কিন্তু তারা বলেছিলেন সম্ভব নয় ম্যাডাম। কারণ একজন মারা গেলে শতশত ছাত্র জনতা এগিয়ে আসে। ক্ষমতার এতই লিপ্সা যে শেখ হাসিনা মানুষকে গুলি করে মারতে একবারও চিন্তা করেন নি।
তিনি আরও বলেন, এই দেশে যতবার তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়েছে সেই ভোটে কোন চুরি হয়নি। সবাই বলছে দেশ বদলানোর জন্য সংস্কার করতে হবে, অনেকে বলে আগে সংস্কার তারপর নির্বাচন আর আমি বলি সংস্কার ও নির্বাচন দুটোই একসাথে। আমরা কেবল সরকার বদলের লড়াই করছি না আমরা দেশ বদলের লড়াই করছি, মানুষের ভাগ্য বদলানোর লড়াই করছি। আরো যারা দল আছে তারা যেন নিজেরা ভালো হয়ে যায়, দলের নেতারা যাতে নিজেরা নিজেদের পরিবর্তন করে। নেতারা যাতে মনে না করে আমরা দখল করে অর্থ কামাই করবো, ঐসব দল দিয়ে দেশের কোন কল্যাণ হবেনা। এখন থেকে সেইসব দল নিজেরা বদলে যাবে না হলে জনগন তাদের বদলে দিবে।
সমাবেশ শেষে ১১ সদস্য বিশিষ্ট বগুড়া শহর কমিটি ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি মাহমুদুর রহমান মান্না। এতে আহবায়ক হয়েছেন মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক ও সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ।
এই সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ঐক্য বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার, কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুর রাজ্জাক তালুকদার সজীব। গণ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্য বগুড়া জেলার নেতা পিয়াল রহমান, সাইদুর রহমান, সাগর আহম্মেদ, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিক, আবুল কালাম আজাদ, মামুনুর রশিদ, সাদ্দাম, পপি, শামীম, রফিকুল ইসলাম।