শীতের আগমনে পর্যটকে মুখরিত কুয়াকাটা
শীতের আমেজের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটায় বেড়েছে পর্যটকদের আগমন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ও শনিবার (২ নভেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটি এবং শ্যামাপূজাকে কেন্দ্র করে সৈকত এলাকা ও আশপাশে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সমুদ্রের নীল জলরাশিতে ডুব দিয়ে বা দল বেঁধে সাঁতার কেটে অনেকে উপভোগ করছেন প্রকৃতির সৌন্দর্য।
হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতেও পর্যটকদের উপস্থিতি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কুয়াকাটার এক আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার জানান, সাম্প্রতিক সময়ে হোটেল বুকিং ভালোই চলছে। তারা আশাবাদী যে, এভাবে চলতে থাকলে অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
ভাসমান চা বিক্রেতা মো. সোবাহান জানান, গত কয়েকদিন ধরে পর্যটক আসতে শুরু করেছে, এতে বিক্রি বেড়েছে।
ক্যামেরাম্যান আলমাছও জানান, পর্যটকদের বাড়তি উপস্থিতিতে তাদের আয়ের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে।
ঢাকা থেকে আগত পর্যটক আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে কুয়াকাটায় প্রথম এলাম। সবকিছু ভালো লেগেছে, তবে কলাপাড়া থেকে কুয়াকাটার সড়কটির অবস্থা খুবই খারাপ। এটি দ্রুত মেরামত করা প্রয়োজন।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. মোতালেব শরীফ বলেন, পর্যটকের সংখ্যা বাড়ছে, আর দেশের পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হচ্ছে। আশা করছি, এবার পর্যটন খাতে আমরা ভালো ফল পাবো।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিওনের পুলিশ সুপার একে আজাদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুত। কুয়াকাটায় পর্যটকরা যাতে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে পারে, সে ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং হালকা শীতের সূচনাতে কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পে যেন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে। কুয়াকাটা পৌর প্রশাসন, পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সক্রিয় রয়েছে। সবমিলিয়ে শীতের শুরুতেই পর্যটকদের উপস্থিতি কুয়াকাটায় নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।