সমাবেশ হবেই, জীবন দিতে প্রস্তুত আছি: জিএম কাদের
যেকোনো ধরনের ঝুঁকি নিয়ে ২ তারিখের প্রতিবাদ সমাবেশের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত আছি বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
শুক্রবার (১ নভেম্বর ) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। বৃহস্পতিবার রাতে পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনার পরপর সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যে যেখানে আছেন বেরিয়ে পড়ুন, ভয় করবেন না। কতলোক মারতে চায় মারবে, আমরা দেখতে চাই কত লোক মারতে পারে।
জিএম কাদের আরও বলেন, গতকাল একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। ছাত্র জনতার নামে কিছু মানুষ এসে হামলার চেষ্টা করে। কর্মীরা তাদের প্রতিহত করে। পরে রাজু ভাস্কর্য থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। তারা নাগরিক কমিটির সক্রিয় সদস্য বলে জানা গেছেন।
সমাবেশ ও সংগঠন করা অধিকার সাংবিধানিক অধিকার। জাপা একটি নিবন্ধিত দল, আমরা সংগঠন করার অধিকার প্রাপ্ত, কিছু শর্ত রয়েছে,আমরা সমাবেশের অনুমতি চাইলে ডিএমপি কমিশনার অনুমতি দিয়েছে। জাপা কখনও সন্ত্রাস করে না, আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে, আমরা কখনও টেন্ডারবাজি দখলবাজি করিনি।
তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলে প্রচার চালানোর চেষ্টা করছে। এই বক্তব্যের কোন জাস্টিফিকেশান নেই কারনে আমরা গুরুত্ব দেই নি। এখন বড়সড়োভাবে এই প্রপাগান্ডা চালানো হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির সমাবেশে আওয়ামী লীগের লোকজন যোগদান করার জন্য ঢাকায় আসছেন এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, আমরাতো আওয়ামী লীগের লোকজনকে ডেকে আনছি না। আওয়ামী লীগের কর্মীরা এলেতো বেছে বেছে, তাদের বের করে দিতে পারবো না। আমাদের বক্তৃতার সময় যে কোনো পথচারি যদি দাঁড়িয়ে শুনতে চান তাকেতো বাঁধা দেওয়ার এখতিয়ার কারো নেই।
ভিপি নুরের দলের (গণঅধিকার পরিষদ) পক্ষ থেকে জাতীয় পার্টির সমাবেশ প্রতিহত করার ঘোষণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে দলটির রাজনৈতিক কোনো দক্ষতা অভিজ্ঞতা নেই। সংসদে তাদের কোনো প্রতিনিধি কখনও ছিল না। খানিকটা এমন যারা এখন পানিতে নামেনি, তাদের সাতার প্রসঙ্গের মতো। তাদের এই হুমকি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না। হাতি যখন পানিতে পড়ে তখন চামচিকাও লাথি মারে, তেমনি হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভুঁইয়া, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, শেরিফা কাদের, আলমগীর শিকদার লোটন।