ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’: সাতক্ষীরায় আঘাত হানার আশঙ্কা নেই

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় আঘাত হানার আশঙ্কা নেই

সাতক্ষীরায় আঘাত হানার আশঙ্কা নেই

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ সাতক্ষীরায় আঘাত হানার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী রিপন।

তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ অতিক্রম করে গেছে। এখনও সাতক্ষীরা উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি রয়েছে। সাতক্ষীরা উপকূলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নেই। তবে ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ ও চরসমূহের ওপর দিয়ে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী বর্ষণ হতে পারে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে বঙ্গোপসাগারে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) সকাল থেকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার সুন্দরবন-সংলগ্ন গাবুরা, পদ্মপুকুর, বুড়িগোয়ালিনীসহ উপকূলীয় এ অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে।

সাতক্ষীরা গাবুরা ইউনিয়নের বাসিন্দা ওয়েজ কুরুনী বলেন, ঝড়ের কথা শুনলেই আতঙ্ক বেড়ে যায় উপকূলে। প্রত্যেকটি ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকার নদ-নদীতে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হয়। ঝড়ের প্রভাবে অঝোরে বৃষ্টি নামে। এতে ঝড়ের তাণ্ডবে যে ক্ষতি হয়, তার শতগুণ ক্ষতি হয় বাঁধ ভেঙে। তাই ঝড়ের কথা শুনলেই আৎকে ওঠেন উপকূলের মানুষ। চরম দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় ঝুকিপূর্ণ বাঁধ নিয়ে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে দু’দিন ধরে টানা বৃষ্টি ঝরেছে। স্থানীয় উপকূলের সাধারণ মানুষ দেখেছেন, পূর্ব দিকের বাতাস মানেই বেড়িবাঁধ ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। 

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সালাহউদ্দিন বলেন, অতিঝুঁকিতে আড়াই কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। সেগুলো টানা তিনদিন জিও ব্যাগ নিয়ে কাজ করছেন, সঙ্গে সঙ্গে তদারকির মধ্যেও রেখেছেন।

সাতক্ষীরা পাউবো বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম জানান, তার বিভাগের আওতাধীন প্রায় সাতক্ষীরায় ৩০৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি পোল্ডারের ৩টি পয়েন্টে ২ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ। তবে আগাম প্রস্তুতি হিসেবে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যাক জিও ব্যাগ, ফিল্টার ও জি পলেস্টার মজুদ রাখা হয়েছে।