রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ

রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে তারা এ বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

বিজ্ঞাপন

এসময় তারা গোপালগঞ্জের গোলাপি আর কত কাল জ্বালাবি, এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়, লীগ ধর  জেলে ভর, স্বৈরাচারের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না' - এমন নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

চট্টগ্রামের সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমরা দেখেছি স্বৈরাচারের দোসররা এখনো দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতে বসে আছে। আমাদের যেসকল ভাইয়েরা রক্ত দিয়েছে, দোসরদের না সরালে তাদের রক্তের সাথে বেমানি করা হবে। স্বৈরাচারের দোসর চুপ্পু এখনো গদিতে বসে আছে। পরিস্কারভাবে বলে দিতে চাই- যদি এই চুপ্পু দ্রুততম সময়ের মধ্যে পতত্যাগ না করে তাহলে বঙ্গভবন ঘেরাও করা হবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এই স্বৈরাচারের দোসর চুপ্পুকে অপসারণ করতে হবে। আর নয় তো যে কোনো সময় ভঙ্গভবন ঘেরাওয়ের ঘোষণা আসতে পারে। এখন থেকে ২৪ বা ৪৮ ঘন্টার কোন আল্টিমেটাম হবে না। চুপ্পুর জন্য যে কোন সময় ঘেরাও হতে পারে।

'আমরা দেখছি সন্ত্রাসী লীগ এখনো দেশের বিভিন্ন জাগয়ায় মাথাচাড়া দিয়ে বসে আছে। তাদের বলতে চাই- তোমরা হিসেব বুঝো নাই, আমরা তোমাদেরকে গর্ত বের হওয়ার সুযোগ দিয়েছি। বের হওয়া মাত্রই তোমাদেরকে ধরা হবে।

যারা এখনো দেশে আনাচে কানাচে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে দেশকে অস্তিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছেন আপনারা হুশিয়ার হয়ে যান। আপনাদের জায়গা এই বাংলাদেশের মাটিতে হবে না।'

রাফি আরও বলেন, আমরা দেখেছি গতকাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসীরা আবারও হামলা করেছে। আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই- পালানোর জায়গাও খুঁজে পাবেন না। আমরা প্রশাসনকে বলতে চাই- দ্রুত সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হামলাকারীদের যদি গ্রেফতার না করেন তাহলে ছাত্রজনতা আইন হাতে তুলে নিয়ে বাধ্য হবে। বাংলাদেশ আইন হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে। তাই দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার ব্যবস্থা করুন। এমন কি সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। ওই সন্ত্রাসীদের হাতে আমাদের রক্ত লেগে আছে। ওই ফ্যাসিস্ট লীগদের এই দেশের মাটিতে রাজনীতি করার যোগ্যতার রাখে না।

সমন্বয়ক রিজাউর রহমান বলেন, গতকাল ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা চট্টগ্রম বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালিয়েছিল। এ ঘটনায় আমরা এখনো পর্যন্ত ইকবাল ও হানিফসহ জড়িতদের গ্রেফতার করতে পারেনি। দ্রতু যদি তাদের গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আমরা হাটহাজারী থানা অভিমুখে লংমার্চ করবো।

হুশিয়ারি দিয়ে তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আবারও রাষ্ট্রপতি চুপ্পু মাধ্যমে পুনরায় তাদের সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। চুপ্পুকে দ্রুত পদত্যাগ করতে হবে। না হয় আমাদের এই আন্দোলন আবারও গণসমুদ্রে রূপ নেবে।

ষোলশহর স্টেশনে আধাঘন্টা অবস্থা নিয়ে পরে তারা মিছিল করতে করতে দুই নম্বর গেটের দিকে চলে যান।