ভোট শুরুর পর লক্ষ্মীপুরের ৪৭৭টি কেন্দ্রে প্রথম চার ঘণ্টায় ১৩ শতাংশ ভোট পড়েছে।
কুমিল্লা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা মো. ফরহাদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, দুপুর ১২টা পর্যন্ত লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসনের ৪৭৭ কেন্দ্রে মোট ভোটের ১৩ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। লক্ষ্মীপুরে মোট ভোটার ১ লাখ ৯৪ হাজার ৫৯৭টি।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার পাবলিক স্কুল কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৯০৬ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত এখানে ৬টি বুথে মোট ভোট পড়েছে ১৫২টি। পৌর লাহারকান্দি উচ্চবিদ্যালয়ে মোট ভোটার ৩০৯৯ জন। ১০টা পর্যন্ত এখানে ভোট পড়েছে ৭৯টি। সদর উপজেলার গৌরিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৭৮৭ জন। সকাল ১০টা পর্যন্ত এখানে ভোট পড়েছে ১০০টি।
বেশিরভাগ কেন্দ্রে আশানুরূপ ভোটার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি।
লক্ষ্মীপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট গ্রহণ চলছে। কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে জেলায় সেনাবাহিনীর ৩৪৫ জন সদস্য, ১০ প্লাটুন বিজিবি, র্যাবের ৮টি পেট্টোল টিম, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও আনসার সদস্যসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করছেন।
গাইবান্ধার সবকটি বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে রুপালী ইলিশ। বাজারে আগ্রহ নিয়ে ইলিশ মাছের দাম শুনলেও অধিকাংশ ক্রেতাকে ফিরতে হচ্ছে হতাশ হয়ে। ক্রেতাদের স্বাদ ও সাধ্যের মধ্যে ব্যবধান তৈরি করেছে ইলিশের আকাশছোঁয়া দাম। বর্তমান বাজারে নিম্নবিত্ত তো নয়ই, নিম্ন-মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের ক্রয় সাধ্যের বাইরেও এখন এই মাছ। বর্তমানে বাঙালির জাতীয় মাছ ইলিশ এখন উচ্চবিত্তের বিলাসিতা!
সরেজমিনে গাইবান্ধার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এসব বাজারের সর্বোচ্চ ৯০০ গ্রাম থেকে এক কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৬০০ টাকা থেকে ১৬৫০ টাকা পর্যন্ত। এছাড়া ৫০০ গ্রাম থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিজের দাম ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা এবং সবচেয়ে ছোট আকারের ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ যেটি জাটকা হিসেবে পরিচিত সেটিও কিনতে গুনতে হচ্ছে কেজি প্রতি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
এদিন বাজারে দেখা যায় ইলিশ কিনতে আগ্রহী ক্রেতা থাকলেও ক্রয়ে সাধ্য না থাকায় দাম শুনেই চলে যাচ্ছে ক্রেতারা। কেউ কেউ বাজারের সব থেকে ছোট ইলিশ কিনলেও, দামই করেনি বড় ইলিশের। যারাও ছোট ইলিশ কিনেছেন, তারাও প্রত্যাশার অর্ধেক। তবে দু, একজনকে বড় ইলিশ কিনতেও দেখা গেছে।
ইলিশের দাম কিভাবে, কেন বাড়ে তার সঠিক উত্তর জানেনা গাইবান্ধার স্থানীয় ক্ষুদ্র ইলিশ ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি 'আমরা যেরকম দামে ক্রয় করি, সেভাবেই বিক্রি করে থাকি। আমরাতো ইলিশের মূল আড়তে যেতে পারিনা বা যাইনা।' ফলে ইলিশের সিন্ডিকেট সম্পর্কেও পরিষ্কার ধারণা নেই তাদের।
তবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজি, ইলিশের বৈদেশিক চাহিদার প্রভাব ও সরবরাহ সংকটই মোটা দাগে ইলিশ মাছের দাম বৃদ্ধির কারণ। এছাড়া পরিবহন খরচের কারণেও গাইবান্ধায় ইলিশের দাম বৃদ্ধি পায়। আর আকাশছোঁয়া দাম বৃদ্ধির কারণেই সাধারণের পাতে উঠছে না ইলিশ মাছ।
গাইবান্ধা শহরের নতুন বাজারের পরেশ মৎস্যআরতের স্বত্বাধিকারী পরেশ চন্দ্র বলেন, 'আমাদের ইলিশের প্রাপ্তিস্থান মূলত পদ্মা, মেঘনা ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় অঞ্চলে। তবে, ইলিশ মাছের ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ হয় মূলত ঢাকায়। ঢাকায় ইলিশের বড় ব্যবসায়ীরা এর দাম নির্ধারণ করে থাকেন। আসলে গাইবান্ধা থেকে আমাদের কিছুই করার নেই।'
তিনি জানান, 'মাছ সরবরাহের ওপর নির্ভর করে বড় ব্যবসায়ীরা দাম নির্ধারণ করেন। মাছের দাম কমে গেলে বড় বড় ব্যবসায়ীরা কোলেস্টোরেজে মাছ মজুদ করে রাখেন। যার কারণে ইলিশের দাম সারা বছরেই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে থাকে।'
অন্যদিকে, মধ্যস্বত্বভোগীদের কারসাজিতে অস্বাভাবিক হারে ইলিশের দাম বৃদ্ধি হচ্ছে বলে মনে করেন দেশের সচেতনমহল। বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধার সাম্যবাদী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য মনজুর আলম মিঠুর সঙ্গে কথা হয় বার্তা২৪.কমের এই প্রতিবেদকের।
এসময় তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের বেশির ভাগ জেলেরা মূলত শ্রমিক। তাদের জাল নেই নৌকা নেই কিন্তু মাছ ধরে। নদী বা সমুদ্র থেকে সংগ্রহ করা ইলিশ স্থানীয় পাইকারদের কাছে বিক্রির আগে কয়েকধাপ হাত বদল হয়। তাদের মধ্যে বড় সিন্ডিকেট করে মধ্যস্বত্বভোগীরা। ইলিশের চাহিদার সময় ও বিষয় মাথায় রেখে অসাধু ব্যবসায়ীরা মজুদ করে সরবরাহে সংকট তৈরি করে। ফলে ইলিশের দাম দ্বিগুণ হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ইলিশ বিদেশে রফতানিও একটি বড় কারণ।'
এসময় তিনি আক্ষেপ করে বলেন, 'গাইবান্ধা তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষ কৃষি নির্ভর। এ অঞ্চলের শ্রমজীবী মানুষদের সর্বোচ্চ মজুরী ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। সেই আয়ে তাদের ইলিশ কেনা দুঃস্বপ্ন। ইলিশ দেশের জাতীয় মাছ হলেও এই মাছ এখন সাধারণের না। ইলিশ এখন এ দেশের ধনী শ্রেণির বিলাসিতার পণ্য।'
শহরের পুরাতন বাজারে বাজার করতে আসা মোসলেম উদ্দিন বলেন, 'কিছু কাঁচা বাজর করে ভাবছি কিছু মাছ কিনবো। ইলিশের দোকানে দেখলাম ছোট সাইজেরও অনেক ইলিশ আছে। তাই দামও করলাম, দাম শুনে কেনা হলোনা।'
এসময় কত টাকা করে কেজি চাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, '৪/৫ টিতে কেজি ইলিশের দামই ৬০০ টাকা। তাই নেয়নি। ভাবছি অন্য মাছ নেব।'
একই বাজারে ইলিশ ক্রেতা মদনের পাড়ার ট্রাক চালক সবুজ মিয়া বলেন, 'স্বামী-স্ত্রী সন্তানসহ বাজার করতে এসেছি। স্ত্রী ইলিশ মাছ কেনার কথা বলেছেন। বাধ্য হয়ে ৬০০ টাকা কেজির চার পিস মাছ নিলাম। কিনতে পারবোনা তাই বড় ইলিশের দামই করিনি।'
এদিন ৯০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ এক হাজার ৪৪০ টাকায় কিনতে দেখা গেছে এক ক্রেতাকে। তার সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন। তবে তার পেশা আইন সংশ্লিষ্ট বলে তিনি জানিয়েছেন।
পুরাতন বাজারের ইলিশের ক্ষুদ ব্যবসায়ী প্রদীপ চন্দ্র বলেন, 'আমরা যেরকম দামে ক্রয় করি, সেভাবেই বিক্রি করে থাকি। গাইবান্ধার বাজারে ছোট ইলিশের দাম কম থাকায় চাহিদা বেশি। ফলে ছোট ইলিশের বিক্রিও বেশি। বড় ইলিশ অনেক সময় আমাদের লস (ক্ষতি) করেও বিক্রি করতে হয়।'
গাইবান্ধা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মারজান সরকার বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ইলিশ মূলত উপকূলীয় অঞ্চলেরর মাছ। তবে বর্তমানে ইলিশ উপকূল ছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে পাওয়া যাচ্ছে।'
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রতেও ইলিশ ধরা পড়ছে। গত বছর গাইবান্ধায় ১৭.১৭ মেট্রিক টন ইলিশ ধরা পড়েছে এবং চলতি বছরের এ পর্যন্ত ধরা পড়েছে ১৪ মেট্রিক টন ইলিশ মাছ।
গাইবান্ধা সদ্য যোগদান করা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রাশেদ বলেন, '১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুম শুরু হবে। এই সময়টাতে নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। দেশে তথা গাইবান্ধার নদ-নদীগুলোতে ইলিশের অভয়াশ্রম গড়ে তোলা, ইলিশ সম্পদ রক্ষা এবং এর উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্নভাবে আমরা কাজ করছি। নিষিদ্ধ সময়টার জন্য জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে।'
শিক্ষায় বৈষম্য দূর করে দ্রুত ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অধিবেশনে এই দাবি জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জুবায়ের।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আমির ড. মাওলানা মুহাম্মাদ ঈশা শাহেদী। এছাড়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সিনিয়র নায়েবে আমির অধ্যাপক মাওলানা মুহাম্মাদ এরশাদ উল্লাহ ভূঁইয়া। সহকারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে ছিলেন মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমিন, মাওলানা ফারুক আহমাদ, মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ ভূঁইয়া, ও মাওলানা মো. আব্দুল কাদির।
কাউন্সিল অধিবেশনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়া মাদ্রাসা ছাত্রদের প্রতিনিধিত্বকারী এক বিপ্লবী কাফেলা, যারা সূচনা লগ্ন থেকেই মাদ্রাসা ছাত্র ও শিক্ষকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলন করে যাচ্ছে।
বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় বারবার বিতর্কিত পাঠ্যসূচি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের ইসলামী মূল্যবোধ বজায় রেখে বিতর্কিত পাঠ্যক্রম বাতিল করে নতুনভাবে পাঠ্যসূচি সাজানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে হাজার হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হলেও এখনো একটি ইবতেদায়ী মাদ্রাসাও জাতীয়করণ করা হয়নি। আজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা টিফিন থেকে শুরু করে বৃত্তিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছে, অথচ ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ছাত্ররা এসব সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শিক্ষায় বৈষম্য দূর করে দ্রুত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণ করতে হবে।
বক্তারা ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে বলেন, মুসলমানদের প্রথম কেবলা বাইতুল মুকাদ্দাসকে কেন্দ্র করে ইসরায়েলি বাহিনী ফিলিস্তিনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। এতে হাজার হাজার নিরীহ নারী, পুরুষ, ও শিশুর প্রাণহানি ঘটছে। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে তারা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ইসরায়েল, আমেরিকা, ও অন্যান্য জড়িত শক্তিদের আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন। তারা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জোরালো দাবি জানান।
উক্ত কাউন্সিলে মো. কাইয়ুমকে সভাপতি ও হাফেজ মো. ইমরানুল হককে প্রধান সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়৷
রাজধানী ঢাকায় শনিবার (১২ অক্টোবর) সকাল ৬টার দিকে বৃষ্টি পড়া শুরু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি ঝরলেও সারারাত বৃষ্টির দেখা মেলেনি।
তবে ভোরের আলো ফোটার পর হঠাৎ করে বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। যা অনেকটা সময় ঝরেছে।
বৃষ্টির এ পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল আবহাওয়া দপ্তর। গতকাল শুক্রবার দেওয়া পূর্বাভাসে দেশের আবহাওয়া সংস্থা বলেছিল, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। এমন অবস্থায় সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
অপরদিকে দ্বিতীয় দিন শনিবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে ওইদিন সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে রোববারও (১৩ অক্টোবর) বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এছাড়া বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থা পর্যালোচনায় সারা দেশ থেকে দক্ষিণপশ্চিম মৌসুমি বায়ু বিদায় নিতে পারে বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদী থেকে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে দুপুরে পাড়ার মন্দিরে পূজা দেখতে গিয়ে শিশু দুজন নিখোঁজ হয়েছিল। নিহত দুই শিশু আঠারখাদা গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে সামিউল্লাহ ওরদে তাসিফ (৮) ও একই এলাকার হুমাউনের ছেলে হুজাইফা (১০)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুরে তাসিফ ও হুজাইফা পাড়ার একটি মন্দিরে পূজা দেখার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর থেকে দুই পরিবারের সদমস্যরা তাদের আর কোনো খোঁজ পায়নি। সন্ধ্যায় বাড়ি না ফিরলে দুই পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা তাদের খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
একপর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামেই মাথাভাঙ্গা নদীতে তাদের মরদেহ পাওয়া যায়।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ গণি মিয়া।
তিনি বলেন, ‘দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ আঠারখাদা গ্রামে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’