ময়মনসিংহ ১০: স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা
ময়মনসিংহ ১০ (গফরগাঁও) আসনের এ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ ও ড. আবুল হোসেন দিপু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে পৃথক পৃথক ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন
ময়মনসিংহ ১০ (গফরগাঁও) আসনের এ্যাডভোকেট কায়সার আহমেদ ও ড. আবুল হোসেন দিপু নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা।
রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে পৃথক পৃথক ভাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই ঘোষণা দেন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাতনামা (৪০) এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ নভেম্বর) বিকালে ৪টার দিকে আখাউড়া গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষনিকভাবে নিহতের নাম পরিচয় জানাতে পারেনি পুলিশ ।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জসিম উদ্দিন বলেন, বুধবার বিকালে আখাউড়া গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ উদ্ধার করে রেলওয়ে পুলিশ। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কিভাবে ওই নারী মারা গেছে এই বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, ওই নারীর পরিচয় শনাক্তের জন্য পিবিআইকে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিতে বলা হয়েছে। অজ্ঞাত নারীর পরিচয় শনাক্ত না হলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘর লাশটি দাফন করবেন বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উৎপাদনে লোকসানের মুখে পড়ায় ন্যায্যমূল্যের দাবিতে সড়কে পেঁয়াজ ছিটিয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কৃষকেরা।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার খলিশাকুন্ডি বাজারে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর মহাসড়কে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
সরেজমিনে জানা গেছে, খেত থেকে পেঁয়াজ তোলার শুরুতেই দাম কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন কৃষকেরা। দাম বৃদ্ধির দাবিতে তারা অবরোধ করে সড়কে পেঁয়াজ ছিটিয়েছেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একলাসুর রহমান নামের এক কৃষক বলেন, বিঘা প্রতি দেড় লাখ টাকার বেশি খরচ করে পেঁয়াজের চাষ করেছি। আশা ছিল ভালো দাম পাব। তবে বাজারে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু না করতেই দাম কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ টাকায়। যার ফলে আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি। তাই দাম বাড়ানোর দাবিতে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি।
শহর আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, পেঁয়াজের যা বাজার দর এতে আমাদের খরচ তো দূরের কথা বীজের দামি উঠবে না।
সড়ক অবরোধের বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা বলেন, আজ ৪টা থেকে সড়ক অবরোধ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর দাবিতে কৃষকেরা সড়কে অবস্থান নেন। সন্ধ্যা ৭ পর্যন্ত আমাদের পুলিশ সদস্যরা ওখানে আছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর দাবিতে সড়ক অবরোধ করেছেন কৃষকেরা। পরে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
দৈনিক জনবাণী পত্রিকার সম্পাদক, ব্যবস্থাপনা সম্পাদকসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে দৃর্বৃত্তরা। আহতরা ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলা মোটর এলাকায় প্লানাস টাওয়ার সংলগ্ন পত্রিকাটির কার্যালয়ের পাশে এ হামলা হয়।
হামলায় জনবাণী পত্রিকাটির সম্পাদক ও প্রকাশক শফিকুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক রাজু আহমেদ শাহ, বিশেষ প্রতিনিধি বশির হোসেন খান এবং অনলাইন মাল্টিমিডিয়া সম্পাদক আতাউর হোসেন আহত হন।
আহত সাংবাদিক বশির হোসেন খান জানিয়েছেন, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হঠাৎ করে ২০/২২ জনের দুর্বৃত্ত দল রড, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। তখন আমরা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তারা আমাদের ওপর হামলে পড়ে। আমরা তাদের কাউকে চিনতে পারিনি।
এর আগে হামলাকারীরা জনবাণীর পত্রিকার কার্যালয়ে গিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বসুন্ধরা সিটি সেন্টার থেকে অফিসে যাচ্ছিলাম, আমাদেরকে অফিস না পেয়ে দুর্বৃত্তরা আমাদের খোঁজে বের হয়ে রাস্তায় পেয়ে হামলা চালায়।
পরিকল্পিতভাবে এ হামলা করা হয়েছে জানিয়ে বশির হোসেন খান, তারা (হামলাকারীরা) আমাদেরকে পেয়ে প্রথমে নাম জিজ্ঞেস করে। এরপর হামলা চালায়। এমনভাবে এসেছিল যে, মনে হয়েছে দূর থেকে কেউ দেখিয়ে দিয়েছে। হামলায় সম্পাদকের মাথা, হাত ও পিঠে ক্ষত হয়েছে। সম্পাদককে হত্যার জন্য টার্গেট করে এ হামলা চালানো হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, বাংলা মোটর এলাকায় হামলার ঘটনায় আহত চার সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
সময় টেলিভিশনের পাঁচ সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে বিদেশী সংবাদ সংস্থা এএফপি মিথ্যাচার করেছে বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডিতে এক স্ট্যাটাসে সংবাদকর্মীদের চাকরিচ্যুতি প্রসঙ্গে নিজের ও সংগঠনের অবস্থান স্পষ্ট করেন হাসনাত আবদুল্লাহ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ দাবি করেন, চাকরিচ্যুতির জন্য সময় টিভির মালিকদের কাছে আমরা কোনো সাংবাদিকের তালিকা দেইনি। এমনকি আমরা টিভি চ্যানেলটির শেয়ারও দাবি করিনি। কিন্তু এএফপি তার প্রতিবেদনে ঘটনাটিকে এমনভাবে তুলে ধরেছে যে, ছাত্ররা সাংবাদিকদের বরখাস্ত করতে মালিকদের বাধ্য করেছে। এটি একদমই সত্য নয়।
তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে শতাধিক শিক্ষার্থীসহ প্রায় ২ হাজার নিহত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে বিক্ষোভকারীদের হত্যা করা হয়েছে। তবে এই গণ-অভ্যুত্থানের সময় অনেক টিভি স্টেশন, সংবাদপত্র এবং খবরের ওয়েবসাইট সাংবাদিকতায় ন্যূনতম নৈতিকতা প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা ছাত্র এবং আন্দোলনকারীদের ‘জঙ্গবাদী’ এবং ‘ইসলামি চরমপন্থি’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তাদের অমানবিকতার প্রতিবাদ করার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে সম্প্রতি সিটি গ্রুপের অফিসে গিয়েছিলাম। কারণ তারা হাসিনার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ব্যাপক সমর্থন ও বৈধতা দিয়েছে।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, সময় টিভি এই প্রচেষ্টায় মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। প্রকৃতপক্ষে ২৪ ঘণ্টার এই টিভি স্টেশন গত ১৬ বছরে মানবতার বিরুদ্ধে হাসিনার প্রতিটি অপরাধকে সমর্থন ও বৈধতা দিয়েছে। যার মধ্যে আছে বিচারব্যবস্থা হত্যা, জোরপূর্বক গুম এবং বিরোধী দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্র্যাকডাউন।
ভিন্নমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে সময় টিভি। শহিদুল আলম, ডেভিড বার্গম্যান, লিসা গাজী এবং এএফপি ফ্যাক্ট চেক সম্পাদক কদর উদ্দিন শিশিরের মতো মানুষদের বিরুদ্ধে ভুলভাল রিপোর্ট প্রচার করেছে এই গণমাধ্যম।
হাসনাত আরও বলেন, এএফপি ঘটনাটি এমনভাবে বর্ণনা করেছে যে, ‘আমরা সিটি গ্রুপে প্রবেশ করেছি’, আমরা বৈধ প্রতিবাদ করার জন্য সেখানে যাইনি। এএফপি ১৬ বছরে বিক্ষোভকারীদের অমানবিকতা এবং মানবতার বিরুদ্ধে হাসিনার নৃশংস অপরাধকে বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে সময় টিভি যে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছে তা উল্লেখ করেনি।
তিনি বলেন, আমরা পুনরায় বলতে চাই, আমরা সময় টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সাথে জুলাইয়ে সময় টিভির জনবিরোধী ভূমিকা নিয়ে কথা বলেছি। বরখাস্তের জন্য আমরা মালিকদের কোনো সাংবাদিকের তালিকা দিইনি। আমরা টিভি স্টেশনের শেয়ারও দাবি করিনি। আমাদের মাঝে তেমন কোনো আলোচনা হয়নি। আমি এই অভিযোগগুলোকে আমার বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে বিবেচনা করি। টিভি স্টেশনের মালিক বা সিটি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কোনো বক্তব্যের ওপর ভিত্তি করে এসব অভিযোগ আসেনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক আরও বলেন, বারবার বলেছি আমরা সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতায় বিশ্বাসী। আন্দোলনকালে হাসিনার নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত সাংবাদিক এবং হাসিনার রক্তপিপাসু নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে যারা সত্য রিপোর্ট করতেন সেই সাংবাদিক ও সম্পাদকদের প্রতি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। আমরা তাদের স্যালুট জানাই। আমরা সব বিদেশি সংবাদমাধ্যমের বিপ্লবের সময় তাদের ভূমিকার জন্য অভিবাদন জানাই।
এর আগে জুলাই আন্দোলনে দেশের বেসরকারি টেলিভিশন সময় টিভির ভূমিকা নিয়ে কয়েকজন সংবাদকর্মীকে চাকরিচ্যুত করার জন্য তালিকা সরবরাহ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন—এমন একটি তথ্য সম্প্রতি বিভিন্ন মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক ওয়ালে ব্যাখ্যা দিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।