মাত্র একদিন পরেই বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২য় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজটি দেশে আসছে।
শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) বিমান বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বার্তা২৪-কে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
বিমান বাংলাদেশের নতুন সংযোজিত উড়োজাহাজটির নাম দেওয়া হয়েছে হংসবলাকা।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বার্তা২৪-কে জানায়, শনিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে উড়োজাহাজটি দেশে এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
বিরতিহীনভাবে ১৫ ঘন্টা বিমানটি চালিয়ে নিয়ে আসবেন বিমানের ৪জন পাইলট। পাইলটরা হলেন, ক্যাপ্টেন স্মলস্কি, ক্যাপ্টেন মো. আমিনুল, ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী ও ফার্স্ট অফিসার আনিতা রহমান। ফ্লাইট পার্সার শবনম কাদিরসহ ৫ জন কেবিন ক্রু দায়িত্ব পালন করবেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে এভারেট ডেলিভারী সেন্টারে উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং বিমানের কাছে চাবি দিয়ে মালিকানা হস্তান্তর করেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় ২৯ নভেম্বর সকালে মালিকানা হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়েছে।
মালিকানা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বোয়িং পরিচালক (ডেলিভারি কন্ট্রাক্ট) জন বর্বার, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (মধ্য প্রাচ্য, সাউথ এশিয়া) এহসেন রাজপুত উপস্থিত ছিলেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল মালিকানা বুঝে নেন।
বিমানটি বুঝে নিতে বিমান পরিচালনা পর্ষদ, নির্বাহী পরিচালক ও কর্মকর্তাসহ ৩২ জন যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জিয়া উদ্দিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সুদৃঢ় বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিমানের সরাসরি ফ্লাইট চালু হলে এ সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে। এ ক্ষেত্রে বোয়িং এর সহায়তা কামনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে ১০টি নতুন বিমান ক্রয়ের জন্য ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ইউএস ডলারের চুক্তি করে।
ইতোমধ্যে বহরে যুক্ত হয়েছে ছয়টি বিমান। বাকি চারটি বিমান হলো বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার। এর প্রথমটি ১৯ আগস্ট দেশে আসে। চারটি ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজের নাম পছন্দ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। ৪টি বিমানের নাম রাখা হয়েছে আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস।
ড্রিমলাইনার হংসবলাকার আসন সংখ্যা ২৭১টি। এর মধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ২৪৭টি ইকোনমি ক্লাস। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ডিগ্রি পর্যন্ত সম্পূর্ণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরমদায়কভাবে বিশ্রাম নিতে পারবেন। ড্রিমলাইনারে ৪৩ হাজার ফিট উচ্চতায় যাত্রীরা ওয়াই-ফাই সুবিধা পাবেন।