তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের সমস্যায় যা প্রয়োজন

  • লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ব্রণের সমস্যা যে কারোর যে কোন সময়েই দেখা দিতে পারে এবং তার পেছনে থাকতে পারে যেকোন কারণ। ত্বকের যত্নের অভাব, খাদ্যাভ্যাসে অনিয়ম, ঘুম কম হওয়া, পানি কম পান করা কিংবা বয়ঃসন্ধিজনিত কারণে ব্রণের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু যাদের ত্বকের ধরণ তৈলাক্ত হয়ে থাকে, অন্যদের চাইতে তাদের ত্বকে ব্রণের সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে যে উপাদানগুলো ব্যবহারে উপকার পাওয়া যাবে তা ফিচারে তুলে আনা হল।

মধু এবং দারুচিনি

মধুর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য থাকার জন্য ত্বকের সুরক্ষায় এটি অত্যন্ত উপকারি প্রাকৃতিক উপাদান হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি মধু ত্বককে হাইড্রেট করতে তথা ত্বকের প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা প্রদানে সহায়তা করে। এতে করে ত্বক কম তৈলাক্ত হয়। অন্যদিকে দারুচিনি ত্বকে যেকোনও ধরনের সংক্রমণ বা অ্যালার্জি নিরাময় করতে খুব ভালো কাজ করে।

বিজ্ঞাপন

ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন হবে- এক টেবিল চামচ মধু, এক চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া। মধু এবং দারুচিনি একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের আক্রান্ত স্থানে অ্যাপ্লাই করতে হবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ফেস প্যাক ব্যবহার করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যাবে। পর দিন সকালে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

বেসন ও টকদইয়ের

face

তৈলাক্ত ত্বকে পিম্পলের সমস্যা কমাতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকর। বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। এদিকে টকদইতে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের মৃত কোষ দূর করে।

ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ বেসন, এক চা চামচ মধু, এক চিমটি হলুদ গুঁড়া ও এক চা চামচ টকদই একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। ত্বকের ব্রণযুক্ত স্থানে অ্যাপ্লাই করে অন্তত ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর পানিতে মুখ ধুয়ে শুকিয়ে নিতে হবে।

বেকিং সোডা ও লেবুর রস

বেকিং সোডা ত্বকের মৃত কোষ এবং ময়লা দূর করতে সাহায্য করে যার ফলে ত্বক স্বাস্থ্যকর এবং কোমল হয়। বেকিং সোডার সঙ্গে লেবুর মিশ্রণ তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের উপদ্রবকে কমিয়ে আনতে কাজ করবে দ্রুত। ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ বেকিং সোডা এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস প্রয়োজন হবে। একটি পাত্রে বেকিং সোডা এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালভাবে মিশিয়ে নিন। পেস্টটি অল্প পরিমাণে আক্রান্ত জায়গায় প্রয়োগ করে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে।