করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে কন্টাক্ট লেন্সের বদলে চশমা

  করোনা ভাইরাস
  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণমূলক রোগ হল করোনাভাইরাস। বায়ুবাহিত রোগ হলেও, মানুষের হাতের স্পর্শের মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। ভাইরাস বহনকারীর সংস্পর্শে আসলে তার কাছ থেকে অজান্তে নিজের শরীরেও প্রবেশ ঘটে করোনাভাইরাসের।

এ কারণে মানুষের কাছ থেকে অন্তত ছয় ফিট দূরত্ব বজায় রেখে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে বলা হচ্ছে, কারোর সাথে হ্যান্ডশেক ও কোলাকুলি না করার জন্যেও। অন্যদের কাছ থেকে দূরে থাকার সাথে নিজের হাতের মাধ্যমে মুখমণ্ডলে স্পর্শ করা থেকেও বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। কারণ চোখ, নাক ও মুখের মেমব্রেনসের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সহজেই শরীরে প্রবেশ করে।

বিজ্ঞাপন

খেয়াল করুন, এখানে চোখের কাছ থেকে হাতকে দূরে রাখতে বলা হচ্ছে। কিন্তু কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের ক্ষেত্রে চোখের সাথে হাতের সংযোগ প্রয়োজন হয়। যারা নিয়মিত কন্টাক লেন্স ব্যবহার করেন, এ সময়ে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার থেকে দূরে থাকা খুবই জরুরি।

eye

যুক্তরাষ্ট্রের আমেরিকান অ্যাকাডেমি অব অফথ্যালমোলজি (চক্ষুরোগ) ৩২,০০০ চক্ষুরোগ চিকিৎসকদের সাথে আলোচনা করে পরামর্শ দিচ্ছে, এ সময়ে শুধুমাত্র চশমার উপরে নির্ভর করতে। কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহারের সময়ের হাতের ত্বকে লুকিয়ে থাকা সামান্য করোনাভাইরাসের জীবাণুও জীবনহানীর সম্ভাবনা রাখে।

যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (CDC) বলছে, ‘চোখ, নাক ও মুখের ভেতরে রয়েছে মিউকোসাল মেমব্রেনস, যা শরীরের ভেতরে ভাইরাস বহন করার রাস্তা হিসেবে কাজ করে। এই পথগুলোর মাধ্যমে ভাইরাস শরীরের ভেতরে প্রবেশ করার পরেই বিস্তার করতে শুরু করে এবং সর্বশেষ স্তরে পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।’

চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডঃ সোনালি তুলি জানান, যারা ফ্যাশনের অনুষঙ্গ হিসেবে কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে তাদের উচিত হবে কন্টাক্ট লেন্স সম্পূর্ণ পরিহার করা। অন্যদিকে যাদের চোখের পাওয়ারজনিত সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে চশমা ব্যবহার করা হবে সঠিক সিদ্ধান্ত।