কাঁচা কলার উপকারিতাগুলো জানা আছে কি?

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাঁচা কলা

কাঁচা কলা

পাকা কলা অহরহ খাওয়া হলেও কাঁচা কলা খুব একটা খাওয়া হয় না।

স্বাদের দিক থেকে পাকা কলা মজাদার হলেও, কাঁচা কলার উপকারিতাগুলো পেতে হলে ভর্তা, ভাজি বা বিভিন্ন তরকারি রান্নার সাথে কাঁচা কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। মাত্র ১০০ গ্রাম কাঁচা কলায় থাকে ৭৪৯১ গ্রাম পানি, ৮৯ ক্যালোরি শক্তি। মিনারেলের মাঝে এই প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান থেকে মিলবে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, আঁশ, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, থায়ামিন, রিবফ্লাভিন ও অন্যান্য। উপকারী মিনারেল ও খনিজ উপাদানে ভরপুর কাঁচা কলার প্রধান কয়েকটি স্বাস্থ্য উপকারিতা এখানে তুলে ধরা হলো।

ওজন কমায়

কাঁচা কলাতে থাকে দুই ধরনের আঁশ- রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ ও পেকটিন। উভয় উপাদানই দীর্ঘসময় পর্যন্ত পেট ভরা রাখতে কাজ করে। এতে করে লম্বা সময় পর্যন্ত ক্ষুধাভাব দেখা দেয় না এবং ওজন কমানো সহজ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

নিয়ন্ত্রণে রাখে ডায়বেটিস

এখানেও কাঁচা কলায় থাকা রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চ ও পেকটিনের কথা বলতে হবে। এই দুইটি উপকারী উপাদান রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। গবেষণার তথ্য মতে কাঁচা কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স খুবই অল্প (৩০), যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমায়।

কাঁচা কলা

হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখে

উচ্চমাত্রার রেসিস্ট্যান্ট স্টার্চযুক্ত কাঁচা কলা রক্তের প্লাজমা কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড কনসেন্ট্রেশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখে, যা সরাসরিভাবে হৃদযন্ত্রের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়া কাঁচা কলায় থাকা উচ্চমাত্রার পটাশিয়াম রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

ডায়রিয়ার সমস্যায় উপকারী

ডায়রিয়ার সমস্যার ক্ষেত্রে কাঁচা কলায় থাকা উচ্চমাত্রার আঁশ সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে। যা মলকে শক্ত করতে ও ডায়রিয়া তৈরিকারি ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধে কাজ করে। গবেষণা মতে, শিশু থেকে বয়স্ক সকলের জন্যে কাঁচা কলা গ্রহণ উপকারিতা বহন করে।

কাঁচা কলা

আয়রনে ভরপুর

ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়া ও আয়রন সমৃদ্ধ কাঁচা কলা রক্তশূন্যতার রোগীদের আবশ্যক। কলিজা ও কচু শাকের মতো কাঁচা কলাও হিমোগ্লোবিন তৈরিতে কাজ করে। এছাড়া কাঁচা কলা অন্যান্য খাদ্য উপাদান থেকে আয়রন শোষণেও অবদান রাখে এবং আয়রনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।

ভিটামিনের অন্যতম উৎস

সবজির মাঝে কাঁচা কলাকে বলা যেতে পারে ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের পাওয়ার হাউজ। পটাশিয়ামসহ ভিটামিন-সি, বি৬, এ, ই, কে, ফলেট, জিংক ও সোডিয়াম সমৃদ্ধ কাঁচা কলা কলা গ্রহণে শরীর তার প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ পুষ্টি পেয়ে যায়।

আরও পড়ুন: হৃদরোগের ঝুঁকি কমে দারুচিনি গ্রহণে

আরও পড়ুন: কোন মসলায় কী উপকারিতা?